চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এর আঘাত ও প্রতিদিনের জোয়ারের পানিতে নিন্মঞ্চল প্লাবিত হয়ে ক্ষতির মূখে পড়ছে নির্মিত সড়ক গুলো। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে বঙ্গোপসাগর ও সাঙ্গু নদের পানি ৫-৭ ফুট বেড়ে যাওয়ার ফলে খালের জোয়ারের পানি ঢুকে পড়ে শিকলবাহার বিভিন্ন গ্রামে।
স্থানীয়রা জানান, শিকলবাহা ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এর আঘাত ও স্বাভাবিক জোয়ারের পানির চেয়ে ৫-৭ ফুট পানি বৃদ্ধির কারণে দুর্ভোগে পড়েছে গ্রামের বাসিন্দারা। জোয়ারের পানি অতিরিক্ত বৃদ্ধি পাওয়ায় খালের পানি প্রবেশ করে প্লাবিত হয়েছে শিকলবাহার ৫টি গ্রাম। ক্ষতি হয়েছে ফসল ও ক্ষেত খামারসহ নির্মিত ছোট-বড় বেশ কয়েকটি সড়কও।
শিকলবাহার ভেল্লাপাড়া ব্রীজ থেকে কালাপুর খাল পাড় পর্যন্ত বেড়িবাঁধ নির্মাণ খুবই জরুরী হয়ে পড়েছে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আঘাত ও প্রতিদিনের জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে সম্প্রতি নির্মিত বেশ কয়েকটি সড়ক। ক্ষতির মূখে পড়েছে ডেইরী খামীরদের চাষাকৃত ঘাস। নষ্ট হয়েছে বিভিন্ন ফসল ও ক্ষেত।
তাছাড়া শিকলবাহা ৪ ও ৫নং ওয়ার্ডের নির্মিত মালুম বাড়ি সড়কের কাপেটিংসহ অহিদিয়া সড়কসহ ছোট বড় গ্রামীণ সড়ক জোয়ারের পানিতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এরমধ্যে মালুমবাড়ি সড়কের ভিটমিন কাপেটিং লবণ পানির কারণে হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত। দুর্ষিত হয়ে পড়েছে পুকুরের পানিও। এ দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পেতে স্থানীয়রা দ্রুত বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবীও করেন।
কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়নের বাসিন্দা আবু সুফিয়ান সাকিব জানান, প্রতিদিন জোয়ারের পানিতে ডুবে যায় আমাদের বাড়ি ঘর ও রাস্তাঘাট। কয়েক বছর আগে উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা সরেজমিনে এসে দেখে গেছেন এবং আশ্বাস দিয়েছিলে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে দেওয়ার। কিন্তু কয়েক বছর পার হয়ে গেলেও হয়নি কোনো বাঁধ। পটিয়া উপজেলা থাকাকলীন সময় থেকে আমরা অবহেলিত ভাবে জীবন যাপন করেছি। নতুন উপজেলা পেয়েছি কিন্তু এ অভিশাপ থেকে মুক্তি পাইনি।
শিকলবাহা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম জানান, অতিরিক্ত জোয়ারের চাপে খালের পানি ঢুকে পড়েছে গ্রামে। পানিতে ৫টি গ্রামের সড়ক, বাড়িঘরসহ বিভিন্ন ফসল ও ক্ষেত খামারের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। চরম আতঙ্কে রয়েছেন এলাকাবাসী।
কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিনা সুলতানা জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের আঘাত ও জোয়ারের পানিতে শিকলবাহা এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মাসিক সমন্বয় সভায় বেড়িবাঁধ নির্মাণের বিষয়ে আলাপ-আলোচনা হয়েছে।