অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর জনবান্ধব পুলিশ গঠন করার চেষ্টা চলছে। দেশের সব থানার কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে এরই মধ্যে নানা উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। তবে ৫ আগস্ট-পরবর্তী আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের কারণে পুলিশের মধ্যে চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। রাজারবাগে ক্ষোভের চরম বিস্ফোরণ ঘটান বাহিনীর কিছু সদস্য।
জানা গেছে, শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর সারা দেশে পুলিশের ওপর ব্যাপক হামলা হয়।
এদিকে সরকার পরিবর্তনের পর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়। হত্যাযজ্ঞে জড়িত থাকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষোভ তৈরি হয় পুলিশের বিরুদ্ধে। ৫ আগস্টের পর নিরাপত্তার স্বার্থে সেনানিবাসে আশ্রয় নেন ৫১৫ জন পুলিশ সদস্য-কর্মকর্তা।
এই পরিস্থিতিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী গত ১৮ সেপ্টেম্বর এক অনুষ্ঠানে বলেন, পুলিশে শৃঙ্খলা ফেরানোর চেষ্টা চলছে। তবে যেসব পুলিশ সদস্য এখনো কাজে যোগ দেননি, লুকিয়ে আছেন, তাঁদের আর যোগ দিতে দেওয়া হবে না।
এরপর গত ১ অক্টোবর সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর যেসব পুলিশ সদস্য এখনো কাজে যোগদান করেননি, তাঁদের অপরাধী হিসেবে গণ্য করা হবে।’
কতজন পুলিশ সদস্য এখনো কাজে যোগ দেননি—এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘১৮৭ জনের মতো ছিল। এর পরে মনে হয় আর কেউ যোগদান করেননি। যাঁরা যোগ দেননি, তাঁদের আইনের আওতায় আনতে হবে। তাঁদের আমরা পুলিশ বলব না, তাঁরা অপরাধী হিসেবে গণ্য হবেন।’