Thursday , 21 November 2024
E- mail: news@dainiksakalbela.com/ sakalbela1997@gmail.com
ব্রেকিং নিউজ
ঘুরে আসুন পাহাড়ী কন্যা খাগড়াছড়িতে

ঘুরে আসুন পাহাড়ী কন্যা খাগড়াছড়িতে

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:

মেঘের ছোঁয়ায় পাহাড়ী কন্যা খাগড়াছড়ির জন্ম।  প্রকৃতি প্রেমীদের নিরলস প্রচেষ্টা আর পরিশ্রমের ফলে অসাধারণ নযনাবিরাম অসংখ্য ঝর্ণার আবিস্কার হয়েছে এই অঞ্চলে। জানা-অজানা আর অচেনা অনেক তথ্য নিয়ে আপনাদের জন্য আমাদের এই আয়োজন। এই অঞ্চল ঘিরে রয়েছে আকাশ-পাহাড়ের মিতালী, চেঙ্গী ও মাইনী উপত্যকার বিস্তীর্ণ সমতল ভূভাগ ও উপজাতীয় সংস্কৃতির বৈচিত্র্যতা। মহালছড়ি, দীঘিনালা, পানছড়ি, রামগড়, লক্ষ্মীছড়ি, মানিকছড়ি, মাটিরাঙ্গা যেদিকেই চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ। এই জেলার মোট আয়তন ২৬৯৯.৫৫ বর্গ কিলোমিটার। উত্তরে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য, দক্ষিণে চট্টগ্রাম ও রাঙ্গামাটি এবং বান্দরবন, পূর্বে ভারতের মিজোরাম রাজ্য ও ত্রিপুরা রাজ্য এবং পশ্চিমে চট্টগ্রাম জেলা ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য অবস্থিত। ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ির দূরত্ব ২৬৬ কি.মি.। তবে চট্টগ্রাম থেকে খাগড়াছড়ির দূরত্ব ১১২ কি.মি.। খাগড়াছড়ি জেলা চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্ভুক্ত।

কি আছে এই খাগড়াছড়ি জেলায়-

আলুটিলা পাহাড়: পাহাড় ডিঙ্গিয়ে চড়াই উতরাই শহরের দিকে নামতেই আলুটিলা পাহাড়। জেলা সদর থেকে মাত্র ৭ কি.মি. এবং পর্যটন মোটেল থেকে ৫ কি.মি. দূরে মাটিরাঙ্গা উপজেলাতে এটি অবস্থিত। এই পাহাড়ের চূড়া থেকে পুরো খাগড়াছড়ি  শহর অবলোকন করা যায়। এই আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রের একটি আকর্ষন রয়েছে। যার জন্য এখানে প্রতিদিন শতশত মানুষের সমাগম। সেটি হচ্ছে পাহাড়ের বুক চিড়ে একটি গুহার জন্ম। এই গুহায় অনেক পর্যটক প্রবেশ করার সাহজ দেখাতে চায় না।

অদ্ভুত এই গুহার দৈর্ঘ্য ২৮২ ফুট এবং গুহার ভিতর একপাশ থেকে অন্য পাশে হেঁতে যেতে সময় লাগে ১৫ মিনিট। গভীর অন্ধকার হবার কারণে গুহার ভিতর টর্চ লাইট বা মশাল নিয়ে যেতে হবে। পর্যটন কেন্দ্রের গেটেই ১০ টাকার বিনিময়ে মশাল পাওয়া যায়। অবশ্য মশাল জ্বালাতে ম্যাচ নিতে হবে আপনাকে। পর্যটনে প্রবেশ মূল্য ১০ টাকা। চাদের গাড়ি ভাড়া করে অথবা লোকাল বাস বা সিএনজি করে আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রে যেতে পারবেন। লোকাল বাসে ভাড়া লাগবে ১০/১৫ টাকা। এই পর্যটন কেন্দ্রে সড়ক ও জনপথ বিভাগের একটি চমৎকার ডাকবাংলোও রয়েছে এখানে। আগ্রহী পর্যটকগণ ইচ্ছে করলে রাত্রিযাপনও করতে পারেন।

রিছাং ঝর্ণা: খাগড়াছড়ির বেশ কয়েকটি ঝর্ণার মধ্যে অন্যতম আকর্ষণীয় ‘রিছাং ঝর্ণা’। পাহাড়ের বুক বেয়ে প্রায় ১০০ ফুট উঁচু থেকে নিচে আছড়ে পড়ছে ঝর্ণার জলরাশি।  জেলা সদর থেকে আলুটিলা পেরিয়ে সামান্য পশ্চিমে মূল রাস্তা থেকে উত্তরে ঝর্ণা স্থানের দূরত্ব সাকুল্যে প্রায় ১১কিঃ মিঃ।

ঝর্ণার সমগ্র যাত্রা পথটাই দারুণ রোমাঞ্চকর। যাত্রাপথে দূরের উঁচু-নিচু সবুজ পাহাড়, বুনোঝোঁপ, নামহীন রঙ্গিন বুনো ফুলের নয়নাভিরাম অফুরন্ত সৌন্দর্য যে কাউকে এক কল্পনার রাজ্যে নিয়ে যায়।ঝর্ণার কাছে গেলে এক পবিত্র স্নিগ্ধতায় দেহমন ভরে উঠে। ১০০ ফুট উঁচু পাহাড় থেকে আছড়ে পড়ছে ঝর্ণার জলরাশি, ঢালু পাহাড় গড়িয়ে নীচে নেমে যাচ্ছে এই প্রবাহ। কাছাকাছি দুটো ঝর্ণা রয়েছে এ স্থানে, প্রতিদিন বহু সংখ্যক পর্যটক এখানে এসে ভিড় জমান এবং ঝর্ণার শীতল পানিতে গা ভিজিয়ে প্রকৃতির সাথে একাত্ম হন।

এই ঝর্ণা দেখতে হলে চাদের গাড়ি, লোকাল বাস বা সিএনজি করে আলুটিলা থেকে আরো ২ কি.মি. এগিয়ে প্রথমে হৃদয় মেম্বার এলাকায় যেতে হবে। সেখান থেকে প্রায় ২.১০ কি.মি. দূরে রিছাং ঝর্ণা।

এই পথ হেটে বা হোন্ডাতে করে যেতে হবে। হোন্ডাতে জনপ্রতি ৫০ টাকা করে নিবে শুধু যাওয়ার জন্য, আসার সময় ১০০ টাকা। চাদের গাড়ি বা সিএনজি নিয়ে গেলে ঝর্ণা থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে নামতে হবে, বাকিটা হেটে যেতে হবে। রিসাং ঝর্ণার কাছাকাছি আরেকটি ঝর্ণা আছে যা রিছাং ঝর্ণা – ২ বা অপু ঝর্ণা নামে পরিচিত। এটির পথ একটু দুর্গম এবং রিছাং ঝর্ণা থেকে যেতে ৩০/৪০ মিনিট লাগবে।

মাতায় পুকুর অথবা দেবতা পুকুর:  গল্প মতে স্থানীয় লোকদের তৃষ্ণা নিবারণের জন্য স্বয়ং দেবতা এই পুকুর খনন করেন। তাই এর নাম দেবতা পুকুর। সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০০০ ফিট উপরে পাহাড় চূড়ায় এটি অবস্থিত। পুকুরের আকার দৈর্ঘ্যে প্রায় ১৫০০ ফুট এবং প্রস্থে প্রায় ৬০০ ফুট।এটি খাগড়াছড়ি-রাঙ্গামাটি রোডে নুনছড়ি ত্রিপুরা গ্রামে অবস্থিত।

এই গ্রাম পর্যটন মোটেল থেকে ১২ কি.মি. এবং মাইছছড়ি থেকে ৪ কি.মি. দূরে অবস্থিত।চাদের গাড়ি, সিএনজি ভাড়া করে বা ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে গেলে নুনছড়ি ত্রিপুরা গ্রাম পর্যন্ত যাওয়া যাবে। পাহাড়ের চুড়ায় উঠার জন্য প্রায় এক থেকে সোয়া এক ঘণ্টা হাটতে হবে।

শতবর্ষী পুরনো বটবৃক্ষ: পাঁচ একর জমির উপর ইতিহাস আর কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এই বট গাছটি। এই গাছটি দেখতেও দর্শনার্থীদের ভিড় লেগে থাকে। শতবর্ষী এই বৃক্ষ দেখতে হলে খাগড়াছড়ি শহর থেকে বাসে করে মাটিরাঙ্গা বাজার আসতে হবে। সেখান থেকে ২.৫০ কি.মি. পায়ে হেটে অথবা মোটর বাইকে করে যেতে হবে। মোটর বাইকে ভাড়া নিবে জনপ্রতি প্রায় ১০০ টাকা।

পানছড়ি অরণ্য কুটির: খাগড়াছড়ি জেলা থেকে ২৫ কিমি উত্তরে, পানছড়ি সদর উপজেলা থেকে ৫ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত শান্তিপুর অরণ্য কুটির। এই কুটিরে দেখা যাবে ৪৮.৫ ফুট উচ্চতার বৃহৎ বৌদ্ধ মূর্তি। যা মুহূর্তেই অভিভূত করবে যে কাউকে। মূল মূর্তিটি ৪২ ফিট উঁচু এবং বেদিটি ৬.৫ ফিট উঁচু। সব মিলিয়ে  মূর্তিটি ৪৮.৫ ফিট উঁচু। প্রায় ৬৫ একর জায়গা নিয়ে শান্তিপুর অরণ্যকুটির অবস্থিত।

রাবার ড্যাম:  খাগড়াছড়ি থেকে পানছড়ি উপজেলা যাওয়ার পথে চেঙ্গি নদীর উপর নির্মিত রাবার ড্যাম দেখা যাবে।যা পর্যটকদের আনন্দ দিবে।

তৈদুছড়া ঝর্ণা: খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলায় সবুজ পাহাড় আর বুনো জঙ্গলের মাঝে অবস্থিত নয়নাভিরাম ঝর্ণা দুটির নাম তৈদুছড়া ঝর্ণা। খাগড়াছড়ি থেকে তৈদুছড়া দুই ভাবে যাওয়া যায়। একটি দীঘিনালা হয়ে এবং অন্যটি সীমানা পাড়া দিয়ে। সীমানা পাড়া দিয়ে গেলে সময় অনেক বেঁচে যাবে কারন ট্র্যাকিং অনেক কম করতে হবে।

তৈদুছড়া ঝর্ণায় ২ ভাবে যাওয়া যায়:

(১) সীমানা পাড়া হয়ে-  খাগড়াছড়ি শহরের শাপলা মোড় থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে নয় মাইল নামক স্থানে নামতে হবে। দীঘিনালা গামী যে কোন বাসে করে অথবা সিএনজি নিয়ে নয় মাইল যাওয়া যাবে। সেখান থেকে ৩/৪ কি.মি. হেটে সীমানা পাড়া যেতে হবে। এছাড়াও যে কেউ চাইলে শাপলা মোড় থেকে চাঁদের গাড়ী সীমানা পাড়া পর্যন্ত আপ-ডাউন ভাড়া করে নিতে পারেন। গাড়ী আপ-ডাউন ভাড়া পড়বে প্রায় ১৮০০/২০০০ টাকা।

সকাল ৭ টায় রওনা হলে বিকাল ৪ টার মধ্যে খাগড়াছড়ি ফিরে আসতে পারবেন। সীমানা পাড়া থেকে গাইড ঠিক করে তাকে নিয়ে তৈদুছড়ার পথে হাটতে হবে। প্রায় ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট হাটার পর প্রথমে পড়বে তৈদুছড়া ঝর্ণা – ২ (উপরের ঝর্ণা) এবং সেখান থেকে ১ ঘণ্টার পথ তৈদুছড়া ঝর্ণা – ১

(২) দীঘিনালা হয়ে- বাসে করে খাগড়াছড়ি শহরের শাপলা মোড় থেকে ২৪ কি.মি. দূরে দীঘিনালা বাস স্টপেজে যেতে হবে। সেখান থেকে দীঘিনালা বাজার গিয়ে গাইড ঠিক করে নিতে হবে। তারপর জামতলি নামক জায়গা থেকে ট্র্যাকিং শুরু করতে হবে। ঝিরিপথ, উঁচু নিচু পাহাড় পার হয়ে প্রায় ৩ ঘণ্টা হাটার পর তৈদুছড়া ঝর্ণা – ১  পড়বে এবং সেখান থেকে ১ ঘন্টার পথ তৈদুছড়া ঝর্ণা – ২ (উপরের ঝর্ণা)। গাইড খরচ পড়বে ৩০০/৫০০ টাকা। দীঘিনালা হয়ে গেলে যেহেতু সময় বেশী লাগবে তাই একটু তাড়াতাড়ি বের হতে হবে।

সাজেক ভ্যালী: সাজেক রাঙ্গামাটি জেলার সর্ববৃহৎ ইউনিয়ন। সাজেক যদিও রাঙ্গামাটি জেলায় অবস্থিত তবে যাতায়াতের সহজ পথ খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা রোড। তাই যারা খাগড়াছড়ি ভ্রমণে যান তাদের কাছে অন্যতম আকর্ষণ সাজেক ভ্যালী। খাগড়াছড়ি থেকে ৬৯ কি.মি. এবং বাঘাইছড়ি উপজেলা থেকে ৩০ কি.মি. দুরের সাজেকের পুরোটাই পাহাড়ে মোড়ানো পথ। জেনে নিন সাজেক কিভাবে যাবেন। খাগড়াছড়ি শহরের শাপলা মোড় থেকে চাদের গাড়ী/ সিএনজি রিজার্ভ করে সাজেক যাওয়া যাবে। এছাড়াও নিজস্ব মাইক্রো বা কার নিয়েও যাওয়া যাবে। সময় লাগবে সবমিলিয়ে ৩ ঘণ্টা। চাদের গাড়ী ভাড়া ৫০০০/৬০০০ টাকা (দরদাম করতে হবে), সিএনজি ভাড়া ৩০০০/৪০০০ টাকা (সিএনজিতে না যাওয়াই ভাল কারন প্রকৃতি ভালভাবে দেখা যাবে না)। যাওয়ার পথের সৌন্দর্য উপভোগ করতে হলে চাদের গাড়ীর ছাদে বসে যেতে হবে। সেই ক্ষেত্রে সাবধানে ধরে বসতে হবে। একটি চাদের গাড়ীতে অনায়াসে ১২ জন যেতে পারবেন।

সাজেকে থাকার জন্য আছে – সাজেক রিসোর্ট – ০১৭৮৩৯৬৯২০০ এটি রুইলুই পাড়াতে অবস্থিত, রুনময় রিসোর্ট- ০১৮৬৫৬৮৮৭৭, রুইলুই পাড়া ক্লাব হাউস- ০১৮৩৮৪৯৭৬১২, ০১৮৬০১০৩৪০২, আলো রিসোর্ট- ০১৮৬৩৬০৬৯০৬ ইত্যাদি। এছাড়াও যে কোন কারবারির ঘরে জনপ্রতি ১০০ টাকা দিয়ে থাকা যাবে (যদি ফাকা থাকে)। রুইলুই পাড়া থেকে সাজেকের দূরত্ব মাত্র ১ কি.মি.। এছাড়া সাজেক থেকে ২০/২৫ মিনিটের হাঁটা পথ কংলাক পাড়া যার উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২০০০ ফিট উপরে। কংলাক পাড়া থেকে আকাশ পরিষ্কার থাকলে ভারতের লুসাই পাহাড় দেখা যায়। এই লুসাই পাহাড় থেকে বাংলাদেশের কর্ণফুলী নদীর উৎপত্তি হয়েছে যা রাঙ্গামাটি হয়ে চট্টগ্রামের ভিতর দিয়ে এসে বঙ্গোপসাগরের সাথে মিলেছে।

এছাড়াও খাগড়াছড়িতে আরো যেসব দর্শনীয় স্থান রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- শহরের মধ্যে ইয়োংড বৌদ্ধ বিহার, নিউজিল্যান্ড, জেলা পরিষদ পার্ক ও ঝুলন্ত সেতু, খাগড়াছড়ি চার্চ, মং রাজার বাড়ি, লক্ষী-নারায়ণ মন্দির, পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, দীঘিনালা মাণিক্যের দিঘী, দীঘিনালা রিজার্ভ ফরেস্ট, হাজাছড়া ঝর্ণা, মহালছড়ি হৃদ, ভগবান টিলা, দুই টিলা ও তিন টিলা, রামগড় লেক ও টি গার্ডেন, মানিকছড়ি মং রাজার বাড়ি-ইত্যাদি।

যাবেন কিভাবে?

ঢাকা থেকে বাসে করে খাগড়াছড়ি যেতে হবে। নন-এসি বাস ভাড়া ৫২০ টাকা এবং এসি বাস ভাড়া ৮০০ টাকা। এসি বাস একমাত্র সেন্টমার্টিন পরিবহন – ০১৭১১৩২১১৪৩, ০১৭১১৬৬৬১০৯, নন-এসি বাস শ্যামলী-০২-৯০০৩৩১, ০২-৮০৩৪২৭৫, ০১৭১৬-৯৪২১৫৪, শান্তি পরিবহন-০১১৯০৯৯৪০০৬, ঈগল – ০২-৯০০৬৭০০, ০২-৯৩৪৬৩৯১, ইকোনো-০১৭২১৯৪২৪৭৪, ০১৭১৫৩০০১৬৫, সৌদিয়া – ০১৯১৯৬৫৪৯৩৫, ০১৯১৯৬৫৪৮৫৮, এস আলম-০১৮১৩-৩২৯৩৯৪, ০২-৯৩৩১৮৬৮ ইত্যাদি। ঢাকা থেকে বাস ছাড়ে সকালে ও রাতে (১১.০০ টায়) এবং খাগড়াছড়ি থেকে বাস ছাড়ে সকালে ও রাতে (৯.০০ টায়) ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি যেতে সময় লাগবে রাতে ৭/৮ ঘণ্টা এবং দিনে ৮/১০ ঘণ্টা।

খাগড়াছড়ি হোটেল মোটেলের নম্বর:

পর্যটন মোটেল: যোগাযোগ ০৩৭১-৬২০৮৪, ০৩৭১-৬২০৮৫, ০১৫৫৬৫৬৪৩৭৫, এসি রুম ২১০০ টাকা এবং নন এসি রুম ১৩০০ টাকা। এটি শহরে প্রবেশের ২ কি.মি. আগে চেঙ্গী নদীর পাশে অবস্থিত।

হোটেল ইকোছড়ি ইন: যোগাযোগ ০৩৭১-৬১৬২৫, ০৩৭১-৬১৬২৬, ০১৮২৮৮৭৪০১৪। রুম ভাড়া প্রতি রাত ১০০০-২৫০০ টাকা। শৈল সুবর্ণ: যোগাযোগ ০৩৭১-৬১৪৩৬। রুম ভাড়া প্রতি রাত ৬০০-১০০০ টাকা।

শাপলা চট্টর মোড়ে অবস্থিত যে সকল হোটেল রয়েছে, সেখানে ৩০০-৭০০ টাকায় থাকা যাবে।

উল্লেখযোগ্য হোটেল: হোটেল জিরান ০৩৭১-৬১০৭১, ফোর স্টার ০৩৭১-৬২২৪০, থ্রি স্টার ০৩৭১-৬২০৫৭, লবিয়ত ০৩৭১-৬১২২০, চেঙ্গী ০৩৭১-৬১২৫৪, উপহার  ০৩৭১-৬১৯৮০, রাজু বোর্ডিং ০৩৭১-৬১১৬১,  চৌধুরী বোর্ডিং ০৩৭১-৬১১৭৬, ভাই ভাই বোর্ডিং ০৩৭১-৬১৪৬১ ইত্যাদি।

About Syed Enamul Huq

Leave a Reply