Friday , 22 November 2024
E- mail: news@dainiksakalbela.com/ sakalbela1997@gmail.com
ব্রেকিং নিউজ
গাজীপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, শীঘ্রই উদ্বোধন হতে যাচ্ছে নতুন ভবন
--প্রেরিত ছবি

গাজীপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, শীঘ্রই উদ্বোধন হতে যাচ্ছে নতুন ভবন

গাজীপুর প্রতিনিধি:

গাজীপুর আঞ্চলিক পাসপার্ট অফিস এর নতুন ভবন খুব শীঘ্রই উদ্বােধন হতে যাচ্ছে ।
ঢাকার বাইরে প্রথম গাজীপুর আঞ্চলিক পাসপাের্ট অফিস ই-পাসপাের্টর (ইলেকট্রনিক পাসপাের্ট) কার্যক্রম শুরু হয়। দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম এবং বিশ্বে ১১৯তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ই-পাসপাের্ট কার্যক্রম শুরু হয়। ইতিমধ্যে আগারগাঁও, যাত্রাবাড়ী, উত্তরা, ঢাকা সেনানিবাস, বাংলাদেশ সচিবালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সহ দেশের ৬৪ জেলায় ই-পাসপাের্টর কার্যক্রম চালু আছে। ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকা হিসেবে গাজীপুর জেলা একটি অন্যতম দায়িত্বশীল জেলা হিসেবে চিহ্নিত।
এই চিহ্নিত জেলায় বর্তমান কর্মরত আছেন, উপ-পরিচালক মাে. আফজাল হােসেন, তার সাথে কথা বলে  জানা যায়, মানবসেবায় আমাদের মূল লক্ষ্য ই-পাসপাের্টর সেবার মান আরাে বাড়াতে হলে মানব ভােগান্তির দিক চিন্তা করে আগে তাদের সমস্যাগুলা দূর করত হবে। কারণ গাজীপুর একটি শিল্প এলাকা এই গাজীপুর জেলায় প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ লক্ষ লােক বসবাস করে।
অনেক মানুষের স্বপ, ইচ্ছে পূরণের আশায় ই-পাসপাের্ট করতে আমাদের কাছে ছুটে আসেন, পাসপাের্ট করার মধ্যও বিভিন্ন উদ্দেশ্য থাকে যেমন প্রবাসে চাকরির উদ্দেশ্য, ঘােরাফরার উদ্দোশ্য আবার কেউবা চিকিৎসার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দেশে যেতে হয়। ই-পাসপাের্ট এমন একটি ইম্পর্টেন্ট জিনিস আমাদর পার্শ্ববর্তী ইন্ডিয়াতে যেতে হলেও পাসপাের্ট এর প্রয়ােজন হয়।
তাই ই-পাসপাের্ট সেবার মান আরাে বেশি বৃদ্ধি করার লক্ষ্য ও পরিবেশ সুদৃর করার জন্য বর্তমান ৬০/১, উওর রাজবাড়ী (টাংকিরপাড়), জয়দেবপুর, গাজীপুর থেকে স্থান পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে নতুন পাসপাের্ট অফিসের কাজ ইতামধ্যে শেষ হয়েছে বলে জানায়। আমরা খুব শীঘ্রই উদ্বােধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ নতুন পাসপাের্ট অফিস চালু হতে যাচ্ছে।
গাজীপুরের নতুন আঞ্চলিক পাসপাের্ট অফিসের ঠিকানা, গাজীপুর মেট্রাপলিটন পুলিশ হেডকােয়ার্টার্স, ওয়ারলেস, চৌরাস্তা, জয়দেবপুর, গাজীপুর। যে কারণে অনেক দূর দূরান্ত থেকে পাসপাের্ট করতে আসা ব্যক্তিদের প্রথমত সমস্যা রাস্তাঘাটের যানজট নিয়ে। বিভিন্ন দূর দূরান্ত থেকে আসা ইমারজেন্সি পাসপাের্ট করা কর্মজীবী ব্যক্তিদের নির্ধারিত টাইমের ভিতরে এসে সবকিছু করতে হয়। রাস্তার যানজটের জন্য অনেকে সময় ভােগান্তির শিকার হতে হয়, তাই পাসপাের্ট অফিসটি যানজট মুক্ত জায়গায় হলে সবার জন্য ভালা হবে বলে আশা করি। আফজাল হােসেন আরাে জানায়, অনেক সময় দেখা যায় পাসপাের্ট করা ব্যক্তিরা দালালদের ফাঁদো পড়ে টাকা পয়সা দিয়ে পাসপাের্ট হাতে পেতে অনেক সময় চলে যায়, পড়তে হয় বিভিন্ন চিন্তার ভিতরে। তাই এসব দালালদের ফাঁদে না পড়ে, পাসপাের্ট সংক্রান্ত যেকােনো বিষয় নিয়ে সরাসরি অফিসে এসে আমাদের সাথে যােগাযােগ করুন। কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ই-পাসপাের্ট হলাে একটি বায়ামেট্রিক পাসপাের্ট, যাতে একটি এমবড্ডি ইলেকট্রোনিক চিপ রয়েছে। এ চিপের মধ্যে রয়েছে বায়ােমেট্রিক তথ্য, যা পাসপাের্টধারীর পরিচয় প্রমাণের জন্য ব্যবহার করা হয়। এতে মাইক্রােপ্রসেসর বা চিপ এবং অ্যান্টিনাসহ স্মার্টকার্ড প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়। পাসপাের্টর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চিপে সংরক্ষণ করা হয়। ই-পাসপাের্টে যে সব বায়ােমেট্রিক তথ্য নেওয়া হয় সেসব হলাে- ছবি, আঙুলের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিট) ও আইরিশ। ইলেকট্রনিক বর্ডার কট্রােল ব্যবস্থা (ই-বর্ডার) দিয়ে পাসপাের্ট চিপের বাইরের বায়ােমেট্রিক বৈশিষ্ট্যগুলার তুলনামূলক যাচাই করা হয়। পাবলিক কি ইনফ্রাস্ট্রাকচারের (পিকআই) মাধ্যমে পাসপাের্ট চিপ থাকা তথ্য যাচাই করা হয়। তাই জালিয়াতি করা কঠিন। সাধারণ পাসপাের্ট থক ই-পাসপাের্টর পার্থক্য হলাে, এতে মােবাইল ফােনের সিমের মতাে ছােট ও পাতলা আকারের চিপ থাকে। এতে ৩৮ ধরনের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য থাকবে, যার অনেক বৈশিষ্ট্য থাকবে লুকানাে অবস্ায়। ই-পাসপার্ট করার সময় মশিন রিডবল পাসপাের্টর (এমআরপি) তথ্য ভান্ডার পাওয়া তথ্যগুলা ই-পাসপাের্টে স্থানান্তর করা হবে। সাধারণ পাসপাের্টর মতাে ই-পাসপাের্টর আবেদনও অনলাইন পাওয়া যাব। চাইলে পিডিএফ ফরম নামিয়ে নিয়ে হাতেও পূরণ করা যাবে। ফরম পূরণের সময় ছবি ও সত্যায়িত করা লাগবে না। তবে বয়স্কদের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে জন্মনিবন্ধন সনদ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আবেদনপত্র গ্রহণের সময় আবেদনকারীর ১০ আঙুলের ছাপ ও চােখের আইরিশের ছবি নেওয়া হবে। সেসব তথ্য চিপে যুক্ত হবে। ইমিগ্রেশন পুলিশ বিশেষ ক্ষেত্রে সামনে পাসপাের্টের পাতাটি ধরতেই সব তথ্য বেরিয় আসবে। ই-পাসপাের্ট এর পাতা দুই ধরনের। একটি ৪৮ পাতার, অন্যটি ৬৪ পাতার। সাধারণ, জরুরি ও অতি জরুরির জন্য ফি তিন ধরনের। দুই দিনের মধ্যে পাসপাের্ট দেওয়ার নিয়ম চালু হয়েছে। এ জন্য ফিও বেশি গুণতে হবে। ই-পাসপাের্টের জন্য অনলাইন ফির.মড়া.নফ ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করা যাবে। সাইট বাংলা বা ইংরজি ভাষা নির্বাচন করে  নেওয়ার সুবিধা আছে। সেখান শুরুতেই অনলাইন পাসপাের্ট আব দন, নতুন/রি-ইস্যু বাটন পাওয়া যাবে। এখানে ক্লিক করে সরাসরি আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে। এর আগে দেখে নিতে পারেন ই-পাসপা র্ট আবেদনের ৫টি ধাপ। একটি ধাপ হচ্ছে বর্তমান বসবাসরত জেলাতে ই-পাসপাের্ট কার্যক্রম শুরু হয়েছে কি না, তা দেখা। এর পরেরগুলা হচ্ছে অনলাইন ই-পাসপাের্ট আবেদন ফরম, পাসপার্ট ফি পরিশােধ, ছবি ও ফিঙ্গারপ্রিন্টের জন্য পাসপাের্ট অফিসে যােগাযােগ ও পাসপাের্ট অফিস থেকে ই-পাসপাের্ট সংগ্রহ। এর মধ্যে খেয়াল রাখতে হবে, কাগজপত্র ও ব্যক্তিগত তথ্য যাচাই, আবেদনকারীর ছবি তােলা, আঙুলের ছাপ ও আইরিশের ছবি গ্রহণ, যথাযথভাবে পাসপাের্ট ফি পরিশােধ হয়েছে কি না এবং তালিকাভুক্তির পর সরবরাহ করা ডেলিভারি স্লিপ সংরক্ষণ। পাসপাের্ট গ্রহণের সময় ডেলিভারির রসিদ প্রদর্শন বাধ্যতামূলক। এ ছাড়া সর্বশেষ পুরানাে পাসপাের্ট যদি থাকে সাথো করে নিতে হবে। ই-পাসপাের্ট আবেদন অনলাইন দাখিল করার সময় পাসপাের্ট ফি পরিশােধ করা যাবে। পাসপাের্ট ফি স্বয়ংক্রিয়ভাবে হিসাব করা হবে। বাংলাদেশের পাসপাের্ট অফিসের আবেদন দাখিলের ক্ষেত্রে অনলাইন পেমেন্ট করা যাবে। অনলাইনে পেমেন্ট ছাড়াও ওয়ান ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, সােনালী ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া এবং ঢাকা ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়া যাবে। সােনালী ব্যাংকের পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে অনলাইন পেমেন্ট দেওয়া হয় এবং এখন পর্যন্ত চালু করা অনলাইন পেমেন্ট পদ্ধতি হলাে স্টারকার্ড, ভিসাকার্ড, কিউ-ক্যাশ, মােবাইল ব্যাংকিংয়ে বিকাশ ও ডিবিবিএল নেক্সাস এ অনলাইন পেমেন্ট করতে পারবেন। (৪৮ পৃষ্ঠা ৫ বছর ময়াদি ২১ দিন রেগুলার ডেলিভারি ৪ হাজার ২৫ টাকা, ১০ দিন এক্সপ্রেস ডেলিভারি ৬ হাজার ৩২৫ টাকা, ২ দিন সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি ৮ হাজার ৬২৫ টাকা। ৪৮ পৃষ্ঠা ১০ বছর ময়াদি ২১ দিন রেগুলার ডেলিভারি ৫ হাজার ৭৫০ টাকা, ১০ দিন এক্সপ্রেস ডলিভারি ৮ হাজার ৫০ টাকা ও ২ দিন সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি ১০ হাজার ৩৫০ টাকা)-(৬৪ পৃষ্ঠা ৫ বছর ময়াদি ২১ দিন রেগুলার ডেলিভারি ৬ হাজার ৩২৫, ১০ দিন এক্সপ্রেস ডেলিভারি ৮ হাজার ৬২৫ টাকা, ২ দিন সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি ১২ হাজার ৭৫ টাকা, ৬৪ পৃষ্ঠা ১০ বছর ময়াদি ২১ দিন রেগুলার ড লিভারি ৮ হাজার ৫০, ১০ দিন এক্সপ্রস ডলিভারি ১০ হাজার ৩৫০, ২ দিন সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি ১৩ হাজার ৮০০ টাকা) তবে ১৮ বছরের কম ও ৬৫ বছরর বেশি বয়সী নাগরিকরা শুধুমাত্র ৫ বছর মেয়াদি ই-পাসপার্ট পাবেন। ই-পাসপাের্টের আব দনপত্র পূরণ করতে হবে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা জন্ম নিবন্ধন সনদ (বিআরসি) অনুযায়ী। অপ্রাপ্তবয়স্ক (১৮ বছরর কম) আবেদনকারী, যার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেই, তার মা বাবার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। ই-পাসপাের্টর সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছ  এর মাধ্যমে ই-গেট ব্যবহার করে খুব দ্রুত ও সহজে ভ্রমণকারীরা যাতায়াত করতে পারব ন। ফলে বিভিন্ন বিমানবন্দরে ভিসা চেকিংয়ের জন্য লাইনে দাঁড়াতে হবে না। এর মাধ্যমেই ইমিগ্রেশন দ্রুত হয়ে যাবে। ই-গেটের নির্দিষ্ট স্থানে পাসপাের্ট রেখে দাঁড়ালে ক্যামরা ছবি তুলে নিবে। থাকবে ফিঙ্গারপ্রিট যাচাইয়ের ব্যবস্থাও। সব ঠিক থাকলে তিনি ইমিগ্রেশন পেরিয়ে যেতে পারবেন। কােনাে গরমিল থাকলে জ্বলে উঠবে লালবাতি। কারও বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকলে, সেটিও জানা যাবে সঙ্গে সঙ্গে। কর্মকর্তারা বলেছেন, আপাতত ই-পাসপাের্টের পাশাপাশি প্রচলিত এমআরপি পাসপাের্ট ব্যবস্থাটিও বহাল থাকবে। তবে নতুন করে আর কাউকে এমআরপি পাসপাের্ট ইস্যু করা হবে না। বর্তমান এমআরপি পাসপাের্টধারীরা যখন নবায়ন করত যাবেন, তখন তাদেরকেও ই-পাসপাের্ট দেয়া হবে। এভাবে পর্যায়ক্রমে সব এমআরপি পাসপাের্ট তুলে নেয়া হবে।

About Syed Enamul Huq

Leave a Reply