গাজীপুর প্রতিনিধি:
গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া থানার বারিষার এলাকার শিক্ষককে গুরুতর জখম ও হত্যা চেষ্টা মামলার ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামী সুমন মিয়া (২৩) কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১। মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩) বেলা সাড়ে বারোটার দিকে কাপাসিয়ার বারিষার আসামীর নিজবাড়ী থেকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব-১, স্পেশালাইজড কোম্পানীর কোম্পানী কমান্ডার মেজর ইয়াসির আরাফাত হোসেন জানান, গত ২০ আগস্ট ২০২৩ ইং রাত আনুমানিক সাড়ে এগারোটার দিকে ভিকটিম নুরুল ইসলাম (বিএসসি) বেলতলী বাজার থেকে নিজ বাড়ী যাওয়ার পথে বিকারটেকের ডোবারটেক পুকুরপাড়ে পৌঁছালে গ্রেফতারকৃত সুমন মিয়া (২৩) ও তার ৮/১০ জন সহযোগী পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ভিকটিমকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার পথ গতিরোধ করে দেশীয় ছুরি দিয়ে ভিকটিমের বাম ও ডান পায়ে হাটুর নীচে এবং ভিকটিমের দুই হাতে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথারী কুপিয়ে ও লোহার রড দিয়ে মারধর করে গুরুতর জখম করে। কুপানোর এক পর্যায়ে ভিকটিম নিস্তেজ হলে ডোবারটেক এলাকার মৃত আব্দুল বাকির ফকির এর পুকুরে ফেলে দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম বিএসসির স্ত্রী রৌজিয়া সুলতানা (৪০) বাদী হয়ে গত ২২ আগষ্ট অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জনের বিরুদ্ধে কাপাসিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এই ঘটনাটি বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ায় এবং এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে ঘটনার মূল রহস্য উদ্ঘাটন ও আসামী শনাক্ত এবং গ্রেফতারের জন্য র্যাব-১ এর একটি আভিযানিক দল ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় ৫ সেপ্টেম্বর ২৩ইং মঙ্গলবার বেলা সাড়ে বারোটার দিকে র্যাব-১, স্পেশালাইজড কোম্পানীর কোম্পানী কমান্ডার ও স্কোয়াড কমান্ডার এর নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল অভিযান চালিয়ে মামলার মূল আসামী সুমন মিয়া (২৩) কে কাপাসিয়া থানার বারিষাব তার নিজ বাড়ী থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত সুমন মিয়া ঘটনার কথা স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ভিকটিম নুরুল ইসলাম (বিএসসি) স্থানীয় একটি মসজিদের সভাপতি। মসজিদের পার্শ্ব দিয়ে একটি চলাচলের রাস্তা তৈরীকে কেন্দ্র করে ভিকটিমের সাথে আসামীদের পূর্ব থেকে বিরোধ রয়েছে। এরই জের ধরে এঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানান সুমন মিয়া। গ্রেফতারকৃত আসামী’কে গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।