অনলাইন ডেস্ক:
নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন এবং গণমাধ্যমকর্মী আইন পাস হলে সাংবাদিকদের মর্যাদা বাড়বে বলে আলোচকরা মত দিয়েছেন। আলোচকরা আরো বলেন, করোনাকালে সরকারি বিজ্ঞাপন বন্ধ হয়নি, তারপরেও মালিক পক্ষ সংবাদকর্মীদের ছাঁটাই, বেতন কর্তন, ঈদ বোনাস থেকে বঞ্চিত করছে। এই ধরনের অপতৎপরতা থেকে মালিক পক্ষকে সরে আসতে হবে। নয়তো এই পেশায় মেধাবীরা আসবে না, তাতে করে স্বাধীন গণমাধ্যম এক সময় হুমকির মুখে পড়বে।
মে দিবসের ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় বক্তারা একথা বলেন। বরিশাল সাংবাদিক ইউনিয়ন (জেইউবি) শনিবার (১ মে) দুপুরে ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করে। সভার শুরুতেই করোনায় সংক্রমিত হয়ে দেশের মৃত সাংবাদিকদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আবদুল মজিদ আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
জেইউবির সভাপতি মনিরুল আলম স্বপনের সভাপতিত্বে ও ডেইলী স্টারের সাংবাদিক সুশান্ত ঘোষের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, বরিশাল সাংবাদিক ইউনয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তৌফিক মারুফ।
এছাড়াও মে দিবসের মূল্যবান বক্তব্য রাখেন সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) সভাপতি অধ্যাপক শাহ সাজেদা, বরিশাল রিপোর্ট ইউনিটির সভাপতি নজরুল বিশ্বাস, প্রথম আলোর স্টাফ রিপোর্টার এম জসীম উদ্দীন, ডেইলী স্টারের পটুয়াখালী প্রতিনিধি সোহরাব হোসেন, জেইউবির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, বরগুনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস খান ইমন প্রমুখ।
প্রধান বক্তা হিসেবে বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আবদুল মজিদ বলেন, নবম ওয়েজ বোর্ড আমাদের আন্দোলনের ফসল। সরকার ওয়েজ বোর্ড ঘোষণা করেছিল। কিন্তু মালিকপক্ষ আইনি প্রক্রিয়ায় তা আটকে রেখেছে। এর জন্য আমাদেরকে আন্দোলনে যেতে হবে। কিন্তু করোনাকালে এটা ঠিক হবে না। আমরা তথ্যমন্ত্রীর মাধ্যমে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেছি। করোনার কথা ভেবে প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের ১০ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন।