চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম মহানগরীর ষোলশহর এলাকায় নালায় পড়ে নিখোঁজ হওয়ার ৩দিন পর শিশু মো. কামালের মরদেহের সন্ধ্যান মিলেছে। বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে মুরাদপুরের মির্জা খালে তার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ।
এর আগে চলতি বছরের ২৫ আগষ্ট মুরাদপুর এলাকায় নালায় পড়ে নিখোঁজ হন ছালেহ আহমেদ (৫০) পথচারী। যার খোঁজ আর পাওয়া যায়নি। এছাড়া গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে আগ্রাবাদ বাদামতলী এলাকায় নালায় পড়ে মারা যান সেহরিন মাহমুদ সাদিয়াা নামের এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী। পরে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নগরীতে বিভিন্ন অরক্ষিত নালায় ডুবে একের পর এক মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় নগর জুড়ে মানুষের মাঝে পথ চলতে গিয়ে বিরাজ করছে আতংক।
সিএমপির পাঁচলাইশ থানার উপ-পরিদর্শক বাবু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বেলা ১২টার দিকে স্থানীয়রা একটি মহদেহ নালার পানিতে ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। মরদেহটি ৩দিন আগে নিখোঁজ হওয়া শিশুটির বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। লাশ শনাক্ত করতে পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছে।
ভাসমান মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে নিখোঁজ কামালের বাবা মোহাম্মদ কাউসার জানিয়েছেন খালে ভাসমান মরদেহটি তার ছেলে কামাল। পরে পুলিশ কামালের মরদেহ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
উল্লেখ্য গত সোমবার বিকাল ৪টার দিকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে ষোলশহর এলাকায় রাকিব (১৪) ও মো. কামাল (১০) নামে দুই পথশিশু সড়কের পাশে ফুটপাতে খেলার সময় বল পড়ে গেলে তা তুলতে গিয়ে চিটাগং শপিং কমপ্লেক্সের বিপরীতে ভূমি অফিসেরসামনে চশমা খালে পড়ে যায়। এ সময় রাকিব উঠে আসতে পারলেও কামাল উঠতে পারেনি। প্রথম দিন কেউ না জানলেও পরদিন মঙ্গলবার বিকেল থেকে উদ্ধার কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। নিহত শিশু কামাল ষোলশহর স্টেশন এলাকার ছিন্নমূল মো. কাউসারের ছেলে।