অনলাইন ডেস্ক:
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সর্বশেষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৩ নভেম্বর। জ্বর নিয়ে ভর্তি হলেও এখন নানা জটিলতায় ভুগছেন তিনি। এর আগে টানা ২৬ দিন হাসপাতালে কাটিয়েছেন। তখন তাঁর বায়োপসি করা হয়। গত এপ্রিলে করোনায়ও আক্রান্ত হন বেগম জিয়া। এবার তাঁকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে বেশি সোচ্চার বিএনপি। তবে সরকারের তরফ থেকে এখনো সাড়া মেলেনি।
দ্রুত বিদেশে নিতে চায় বিএনপি
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক জটিলতা বাড়ছে। পুরনো সমস্যাগুলোর সঙ্গে গত দুই দিনে চিকিৎসকদের নতুন করে ভাবাচ্ছে তাঁর শরীরের ভেতরে রক্তক্ষরণের মতো বিষয়। এর জন্য গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় আরো কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে তাঁকে।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেছে, সর্বশেষ তাঁর এন্ডোস্কোপি ও কোলনোস্কোপি করা হয়েছে। তবে রক্তক্ষরণের জায়গাটি চিহ্নিত করা যায়নি।
খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে আট দিনের নতুন কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি। খালেদা জিয়াকে নিয়ে কোনো গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।
আগের কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল সারা দেশে দলের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। সংবাদ সম্মেলন করে খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর দাবি করেছেন ডা. জাফরুল্লাহ। খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় গতকাল বিকেলে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে দোয়া মাহফিল করে জাতীয়তাবাদী উলামা দল।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে বেশ দুর্বল হয়ে গেছেন। খাওয়ার রুচিও কম। শরীরের ভেতরে রক্তক্ষরণের (ইন্টার্নাল ব্লিডিং) কারণে রক্তে হিমগ্লোবিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকছে না। তাই গত মঙ্গলবার রাতে তাঁকে রক্ত দিতে হয়েছে বলে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের সূত্রে জানা গেছে।
গত রাত পর্যন্ত খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বড় কোনো অবনতি ঘটেনি বলে সূত্র জানায়। তিনি কথাবার্তা বলছেন।
এর আগে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘গতকাল বিকেলে মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা বসেছিলেন। তাঁরা ম্যাডামের কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা দিয়েছেন। সেগুলো করানো শেষে তাঁরা পর্যালোচনা করবেন এবং নতুন করে আবার পরামর্শ দেবেন।’
আট দিনের কর্মসূচি ঘোষণা
গতকাল দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের যৌথ সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার অবস্থা খুবই মুমূর্ষু। চিকিৎসকদের পক্ষে যতটা সম্ভব, তাঁরা সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছেন।’
মির্জা ফখরুল আরো বলেন, ‘ম্যাডামের বিষয়ে আপনারা সরাসরি আমাকে ফোন করবেন। আমি আপনাদের জানাব। আজ এখনো কিছু গুজব ছড়াচ্ছে। আমার মনে হয়, অত্যন্ত কৌশলে কোনো মহল অসৎ উদ্দেশ্যে গুজব ছড়াচ্ছে।’
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে কর্মসূচি দিয়ে গতকাল ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘ম্যাডামের মুক্তি ও তাঁর বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে আমরা আপাতত এই কর্মসূচি শুরু করছি বৃহস্পতিবার থেকে। এই কর্মসূচি সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করবে বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থার ওপর। প্রয়োজনে এই কর্মসূচি পরিবর্তন করা হতে পারে। সেটা আমরা যখন প্রয়োজন হবে, তখন জানাব।’
আট দিনের কর্মসূচির মধ্যে বিএনপি দুই দিন এবং অঙ্গসংগঠনগুলো চার দিনের কর্মসূচি পালন করবে। বিএনপি ২৬ নভেম্বর খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনায় সারা দেশে মসজিদে দোয়া মাহফিল ও ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রার্থনাসভা এবং ৩০ নভেম্বর বিভাগীয় সদরে সমাবেশ করবে। ২৫ নভেম্বর যুবদল, ২৮ নভেম্বর স্বেচ্ছাসেবক দল, ৪ ডিসেম্বর ছাত্রদল এবং ৩ ডিসেম্বর কৃষক দল ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশ, ২ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা দল মানববন্ধন এবং ১ ডিসেম্বর মহিলা দল মৌন মিছিল করবে।
খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে ২২ নভেম্বর খুলনা, নরসিংদী, নাটোর, সাতক্ষীরা, বরগুনাসহ বিভিন্ন স্থানে সমাবেশের কর্মসূচিতে পুলিশি বাধা ও হামলার ঘটনার নিন্দা জানান বিএনপি মহাসচিব।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, কেন্দ্রীয় নেতা আমানউল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, রুহুল কবীর রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, শ্যামা ওবায়েদ, আবদুস সালাম আজাদসহ অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি
দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলামের কাছে স্মারকলিপি দেয় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর নেতৃত্ব একটি প্রতিনিধিদল। পরে সাংবাদিকদের রিজভী বলেন, ‘খালেদা জিয়া মিথ্যা মামলায় তিন বছর ধরে বন্দি রয়েছেন। আমরা আগেও বলেছি, তাঁকে তিলে তিলে নিঃশেষ করতেই বন্দি করা হয়েছে। এর প্রমাণ হলো, খালেদা জিয়া এখন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।’
আজই তাঁকে বিদেশে পাঠানো উচিত
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ রাজনৈতিক ও নাগরিক সমাজের কয়েকজন নেতা। এ বিষয়ে গতকাল সকালে রাজধানীর নগর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর। আজকেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে বিদেশে পাঠানো উচিত। খালেদা জিয়া কতক্ষণ, কয় মিনিট, কয় দিন বাঁচবেন সেটা আমি বলতে পারব না। কিন্তু এই হত্যার জন্য আইনমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী হুকুমের আসামি হবেন।’
জাফরুল্লাহ বলেন, ‘মেডিক্যাল বোর্ডের ছয়জন চিকিৎসক গতকাল আমাকে বিস্তারিত বলেছেন। মঙ্গলবার আমরা যখন গিয়েছি তখন খালেদা জিয়াকে রক্ত দেওয়া হচ্ছিল। বিলেতে এ ধরনের রোগের চিকিৎসা আমিও করেছি। তাঁকে রক্ত দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে। রাত ৩টা পর্যন্ত চিকিৎসকরা চেষ্টা করেছেন।’
বিচার বিভাগের উদ্দেশে জাফরুল্লাহ বলেন, ‘সুয়োমটো রুল বলতে একটা কথা আছে। আজ কেন বিচারপতিরা খালেদা জিয়ার মতো একজন মুমূর্ষু রোগীকে জামিন দিতে পারেন না? প্রতি মিনিটে খালেদা জিয়ার জীবনীশক্তি কমে যাচ্ছে।’
রাষ্ট্রপতির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে যেতে পারতেন। আইনমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আর কোনো ভানুমতির খেলা দেখাবেন না। অনুগ্রহ করে আজকেই খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠিয়ে দিন।’
সংবাদ সম্মেলনে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী, আপনি তাঁকে (খালেদা জিয়া) বিদেশে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন।’
সাংবাদিকদের আহ্বান
দুই হাজার ৫৮২ জন সাংবাদিক খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দিতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন। গতকাল সংবাদপত্রে পাঠানো ওই বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে আছেন রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, আলমগীর মহিউদ্দিন, আমানউল্লাহ, আবুল আসাদ, শওকত মাহমুদ, রেজোয়ান সিদ্দিকী, কাদের গনি চৌধুরী, কামাল উদ্দিন সবুজ, ইলিয়াস খান প্রমুখ।
কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল
খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় গতকাল বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দোতলায় কোরআন শরিফ খতম ও দোয়া মাহফিল করে জাতীয়তাবাদী উলামা দল।
এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা রুহুল কবীর রিজভী, মৎস্যজীবী দলের সদস্যসচিব মো. আবদুর রহিম, উলামা দলের আহ্বায়ক শাহ মোহাম্মদ নেছারুল হক, সদস্যসচিব অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম তালুকদার, মহিলা দলের সুলতানা আহমেদ প্রমুখ।
আইনি দিক খতিয়ে দেখছে সরকার
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা সংকটাপন্ন—বিএনপির এই বক্তব্যকে প্রকাশ্যে মানতে নারাজ সরকারের মন্ত্রী ও সরকারি দল আওয়ামী লীগের নেতারা। তবে গত মঙ্গলবার রাতে খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে সৃষ্ট গুজবের পর কিছুটা নতুন করে ভাবছে সরকার।
প্রাথমিকভাবে খালেদা জিয়ার ভাই শামীম এস্কান্দারের করা আগের আবেদনটি নিয়ে কাজ করছে আইন মন্ত্রণালয়। গতকাল তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানও এমনটি বলেছেন। দলের অন্য সূত্রও এমনটি আভাস দিয়েছে । স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তাও বলেছেন, সরকারের দিক থেকে কিছুটা নমনীয়তার আঁচ পাওয়া যাচ্ছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে করা ওই আবেদনে খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করার অনুমতি চাওয়া হয়। খালেদা জিয়া দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি। সরকারের নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত করে তাঁকে বাসায় থাকার অনুমতি দেওয়া আছে।
আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা জানান, খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠাতে হলে কী আইনি প্রক্রিয়া আছে তা খতিয়ে দেখতে আইন মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয় থেকে পরামর্শ পেলে এবং খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে চিকিৎসকদের মতামত পেলে এ বিষয়ে নমনীয় হতে পারে সরকার।
তবে আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গতকাল রাত পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত এখনো তারা পায়নি।
সরকারি দল ও সরকারের একাধিক সূত্র বলছে, চিকিৎসাধীন অবস্থায় খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের গুরুতর অবনতি হলে বা কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে দেশে-বিদেশে সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়ার বিষয়েও এখন গুরুত্ব দিয়ে ভাবছে সরকার। সব দিকে চিন্তাভাবনা করে যখন যা দরকার সে সিদ্ধান্ত দেবে সরকার।
গতকাল বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান। তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার বয়স হয়েছে। এই বয়সে শারীরিক কিছু জটিলতা থাকে; বিশেষ করে নারীদের। এ ছাড়া তিনি এর আগে শারীরিক সমস্যাগুলোর চিকিৎসা বিদেশে করিয়েছেন। তাঁর প্রতি আমাদের সমবেদনা রয়েছে। দেশে তাঁর সর্বোচ্চ চিকিৎসা হচ্ছে। সরকার তাঁর সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করছে। বিদেশে চিকিৎসার ব্যাপারে আইন মন্ত্রণালয় বিশ্লেষণ করছে। দোয়া করি, তিনি সুস্থ হয়ে উঠুন।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা এবং সম্ভাব্য পরিস্থিতি নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে একটি প্রতিবেদনও দিয়েছে সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থা। তাতে বলা হয়েছে, খালোদ জিয়াকে আইনানুগভাবে বিদেশে পাঠানো যায় কি না তা খতিয়ে দেখতে স্বনামধন্য আইনজীবীদের মতামত নেওয়া যেতে পারে। একইভাবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে একটি পৃথক মেডিক্যাল বোর্ড করার সুপারিশও করা হয়।
পাশাপাশি খালেদা জিয়ার অসুস্থতাকে কেন্দ্র করে বিএনপি যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি করে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে পারে বলেও প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়।
গত মঙ্গলবার রাতেই সারা দেশে পুলিশ সদস্যদের সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে খবর বের হয়। মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের ছুটিও বাতিল করে তাদের কর্মক্ষেত্রে যোগদান করতে বলা হয়।
পুলিশের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে কর্মসূচি, গুজব; শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়ার আন্দোলন ইত্যাদিতে আইন-শৃঙ্খলার যেন অবনতি না হয় তাই বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। টহল ব্যবস্থা ও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
তবে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মো. কামরুজ্জামান বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আর যেন সহিংসতা না হয়, এ জন্য পুলিশকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে। অনুরূপভাবে রাজধানীতেও যেন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কোনো ব্যত্যয় না ঘটে, সে জন্য টহল ও নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে। কাউকে গুজবে কান না দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।