অনলাইন ডেস্ক:
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে আরো কিছু শারীরিক পরীক্ষা দিয়েছে তাঁর চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড। রবিবার (২ মে) এক বৈঠকে খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত ১০ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড আগে যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে তা পর্যালোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
জানা গেছে, খালেদা জিয়ার বিভিন্ন পরীক্ষার রিপোর্ট পর্যবেক্ষণ করা হয় মেডিক্যাল বোর্ডের বৈঠকে। বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে বৈঠকে অধ্যাপক ডা. এফ এম সিদ্দিকী, অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন, ডা. সিনা, ডা. ফাহমিদা বেগম, ডা. মাসুম কামাল, ডা. আল মামুন, সাদিকুল ইসলাম এবং ডা. তামান্না উপস্থিত ছিলেন।
প্রায় একঘণ্টার বৈঠকে এসব চিকিৎসকরা খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা জানতে তার বিভিন্ন মেডিক্যাল টেস্ট পর্যবেক্ষণ করেন।
অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, মেডিক্যাল বোর্ড যখন সব পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট দেখে খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ সুস্থ মনে করবেন তখন বাসায় নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন। রবিবার আগের রিপোর্ট রিভিউ করে নতুন কিছু পরীক্ষার পরামর্শ দিয়েছেন। তার (খালেদা জিয়া) শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল, অনেকটাই ভালো। যদিও ওনার পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। সোমবারও কিছু পরীক্ষা হবে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত খালেদা জিয়া এখন রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’র সব স্টাফ এরই মধ্যে করোনামুক্ত হয়েছেন। চিকিৎসকরা বলছেন, খালেদা জিয়ার শরীরেও করোনার কোনো উপসর্গ নেই। তিনি এখন নন কভিড রোগী হিসেবে চিকিৎসাধীন।
উল্লেখ্য, গত ১০ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত হয়। এরপর থেকে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এফ এম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে চিকিৎসা শুরু হয়। ১৪ দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পর দ্বিতীয়বারের মতো খালেদা জিয়ার করোনা টেস্ট হলেও ফলাফল পজিটিভ আসে। এরপর ২৭ এপ্রিল রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়।
দ্বিতীয়বার করোনা টেস্টের পর ডা. এফ এম সিদ্দিকী বলেন, লো-টাইটেলে পজিটিভ রিপোর্ট আসলেও ৫/৬দিনের মধ্যে তিনি পুরোপুরি করোনামুক্ত হবেন। তবে সেই ৫/৬ দিন অতিবাহিত হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে খালেদা জিয়া করোনামুক্ত হয়েছেন তা এখনও ঘোষণা করা হয়নি। যদিও বিচ্ছিন্নভাবে গত এক সপ্তাহ যাবৎ সব চিকিৎসক দাবি করছেন, খালেদা জিয়া নন কভিড রোগী হিসেবে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি আছেন।