অনলাইন ডেস্ক:
ক্লিনফিড দেওয়া বিদেশি ২৪ চ্যানেল দেশে চালাতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আজ সোমবার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্সের (অ্যাটকো) প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়সভা শেষে তিনি এ কথা জানান।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের আকাশ উন্মুক্ত, সরকারের পক্ষ থেকে কোনো চ্যানেল বন্ধ করতে বলা হয়নি। আমরা শুধু বলেছিলাম যে বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী যা পৃথিবীর সব দেশেই আছে। যে আইন ইউরোপ, আমেরিকাসহ বহু দেশেই বলবৎ। এমনকি নেপালের মতো দেশেও সেই আইন বলবৎ। সেটি হচ্ছে বিদেশি চ্যানেলকে অবশ্যই বিজ্ঞাপনমুক্ত সম্প্রচার করতে হবে এবং সেটি ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, আমেরিকাসহ সব জায়গায়ই মানা হয়। কিন্তু আমাদের দেশে মানা হচ্ছিল না।
তিনি বলেন, আইনটি মানার জন্য দুই বছর ধরে তাগাদা দেওয়া হচ্ছিল। সব পক্ষের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করা হয়েছে। এক মাসের বেশি সময় আগে বৈঠক করে আমাদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত ছিল, ১ অক্টোবর থেকে আমরা আইনটি কার্যকর করব। বৈঠকে টেলিভিশন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, সম্প্রচার জার্নালিস্ট ফোরাম, কেবল অপারেটর, ডিস্ট্রিবিউটররা ছিলেন। সেই সভায় সিদ্ধান্ত ছিল ১ অক্টোবর থেকে আইনটি কার্যকর করা হবে। সবার সঙ্গে আলোচনা করেই আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।
মন্ত্রী বলেন, ক্লিনফিড নিয়ে একটি মহল থেকে বিভ্রান্ত ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আমি আশা করব, তারা বিভ্রান্তি ছড়ানো থেকে বিরত থাকবে। সরকার আইন বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, ২৪টির বেশি চ্যানেল বাংলাদেশে ক্লিনফিড দেয়, সুতরাং এগুলো চালানোর ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। আকাশ ডিটিএইচ এগুলো চালাচ্ছে। অন্যদেরও এগুলো চালানোর ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। এ বিষয়ে কোনো পত্রের প্রয়োজন হলে আমরা তা কেবল অপারেটরদের কাছে পাঠাব। যদি এর পরও কেউ এগুলো না চালায়, তাহলে লাইসেন্সের শর্তভঙ্গ হবে। সুতরাং শর্তভঙ্গের কাজ কেউ করবেন না।