সুজল খাঁন, মধুখালী প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরের মধুখালীর কামালদিয়া ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় ব্যবসয়ী মাকড়াইল গ্রামের হারুন অর রশিদ হিরু মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন মিয়া (৫২) নিহত হয়েছেন। শনিবার (৫ জুন) দুপুরে মধুখালী থেকে ভ্যানযোগে বাড়ি ফেরার সময় মাকড়াইল গ্রামের কাছে পৌঁছলে পূর্ব থেকে ওতপেতে থাকা প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে ভ্যান থেকে নামিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বেপরোয়াভাবে মারপিট করলে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
সরোজমিন পরিদর্শন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার দুপুরে শনিবার (৫ জুন) দুপুরে মধুখালী থেকে ভ্যানযোগে বাড়ি ফেরার সময় মাকড়াইল গ্রামের কাছে পৌঁছলে পূর্ব থেকে ওতপেতে থাকা প্রতিপক্ষের ৮-১০ জনের একদল লোক তাকে ভ্যান থেকে নামিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বেপরোয়াভাবে মারপিট কর। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে মধুখালী সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে তার অবস্থা খারাপ হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয় । চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত দেড়টার দিকে তার মৃত্যু হয়। জাহাঙ্গীরের মৃত্যু সংবাদ এলাকায় পৌঁছলে স্থানীয় উত্তেজিত জনতা প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে হামলা করে ভাংচুর করে। উপজেলা চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ও মধুখালী থানার পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ ব্যাপারে মধুখালী থানার পরিদর্শক শহিদুল ইসলামের কাছে জানতে তিনি জানান, এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নিহত জাহাঙ্গীর হোসেনের সাইদা জাহান জুথি (১৬), জান্নাতুর জাহান পিতি (১৪) নামে দুই কন্যা এবং সাফিন মাহমুদ সাম্মি (৪) নামে এক পুত্রসন্তান রয়েছে। গত ছয় মাস আগে তার প্রথম স্ত্রী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে তিনি তিন মাস পূর্বে দ্বিতীয় বিযবাহ করেন। জাহাঙ্গীর দীর্ঘদিন সপরিবারে ঢাকায় বসবাস করতেন। প্রথম স্ত্রী মারা গেলে গ্রামের বাড়ি চলে আসেন এবং মধুখালী রেলগেটে একটি পার্টসের দোকান দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন।
স্থানীয় লোকজন সাংবাদিকদের বলেন, জাহাঙ্গীর একজন ভালো মানুষ ছিলেন। স্থানীয় কোনো দ্বন্দ্বে সম্পৃক্ত ছিলেন না। অপরাধীদের গ্রেফতার করে সঠিক বিচারের দাবি জানিয়েছেন তারা।