কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাওয়ায় স্থবির হয়ে
পড়েছে জনজীবন। দিনের বেশিরভাগ সময় সুর্যের দেখা না মেলায়
নিম্নগামী হয়ে পড়ছে তাপমাত্রা। সাথে উত্তরীয় হিমেল হাওয়া
কনকনে ঠান্ডার মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। এ অবস্থায় বিকেল হলেই ঘন-
কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে প্রকৃতি এবং তা অব্যাহত থাকছে পরের দিন
দুপুর পর্যন্ত।
এতে করে গরম কাপড়ের অভাবে চরম শীত কষ্টে ভুগছে দরিদ্র পরিবারের
শিশু ও বৃদ্ধরা। বিশেষ করে কৃষি শ্রমিকরা সবচেয়ে বেশী বিপাকে
পড়েছে। কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে সময়মত কাজে বের হতে পারছেন
না অনেক শ্রমিক। কমে গেছে তাদের আয় রোজগারও। অনেকেই
খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছে।
এদিকে ঠান্ডার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে জেলার
হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ
শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। কুড়িগ্রাম জেনারেল
হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে প্রতিদিনই ইনডোরের পাশাপাশি
আউটডোরে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে অন্তত: ৮শ থেকে ৯শ রোগী।
স্থানীয় কৃষি আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক সুবল চন্দ্র
জানায়, বৃহস্পতিবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা
হয়েছে ৮ দশমিক ১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আরও কয়েকদিন তাপমাত্রা
নিম্নগামী থাকতে পারে বলে জানান তিনি।