কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:
র্যাব-১২ অভিযান চালিয়ে ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার বিরুলিয়া এলাকা থেকে কুষ্টিয়ার ইজিবাইক চালক হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ড সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী রাকিবুল ইসলাম ওরফে আসাদকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। র্যাব-১২ কুষ্টিয়া জানায়, গত ২৮ মার্চ ২০১৬ তারিখে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জগতি এলাকার ইজিবাইক চালক সুজন সিকদার (২৮) তার ইজিবাইক নিয়ে ভাড়া মারতে গেলে সে আর রাতে বাড়ি ফিরে আসেনি। পরেদিন ২৯ মার্চ সকালে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার সাতবাড়িয়া এলাকার একটি লিছু বাগানের মধ্যে সুজনের ক্ষত বিক্ষত মরাদেহ উদ্ধার করে ভেড়ামারা থানা পুলিশ। এই হত্যা কান্ডের ঘটনায় সুজনের বড় ভাই বাদী হয়ে ভেড়ামারা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১৪, তারিখ ২৯/০৩/২০১৬। মামলাটি ভেড়ামারা থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা ৩জনকে অভিযুক্ত করে ২০১৭ সালের ১০ জানুয়ারী আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। উক্ত মামলা বিচার
কার্য শেষে ৪ অক্টোবর ২০২২ কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ আসামী রাকিবুল ইসলাম ওরফে আসাদ (৩৬) কে মৃত্যুদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অপর দুই আসামী শরিফুল ইসলাম ও রাজু মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও প্রত্যেকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুর দত্তপাড়ার খন্দকার ইউনুস আলীর ছেলে রাকিবুল ইসলাম ওরফে আসাদ। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কয়ারগাছি গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে শরিফুল ইসলাম শরিফ ও বড়খড়িখালী গ্রামের গনি মোল্লার ছেলে রাজু মোল্লা। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী রফিকুল ইসলাম ওরফে আসাদ হত্যা মামলায় পুলিশের
হাতে আটক হয়ে দেড় বছর জেলা খেটে জামিনে বের হয়ে সাভার বিরুলিয়া এলাকায় পালিয়ে থাকে। সেখানে বিভিন্ন কাজে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায় সেখানে দুই টি বিয়েও করে। দ্বিতীয় স্ত্রীর দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ১৩মাস জেল খাটে। তার বিরুদ্ধে ১টি হত্যা মামলা, ১টি অস্ত্র মামলা ও ২টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহযোগীতায় র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ২২ অক্টোবর রাতে সাভার থেকে আসাদকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।