কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে এক চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ অন্তঃত পক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার(২১ডিসেম্বর) বেলা বারোটার দিকে ওই ইউনিয়নের দোস্তপাড়া
বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমান ওরফে মিন্টু ফকির এর সমর্থকরা কুষ্টিয়া-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়ক অবরোধ করে।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কয়েকজন সমর্থককে নিয়ে মিন্টু
ফকির মোটরসাইকেলযোগে নির্বাচনে প্রচারণায় বেরিয়েছিলেন। তিনি
দোস্তপাড়া বাজারে পৌঁছলে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী
মোমিন মন্ডলের সমর্থকরা তার ওপর হামলা চালায়। এতে প্রার্থী মিন্টু ফকিরসহ
বেশ কয়েকজন আহত হন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মিন্টু ফকিরের সমর্থকদের সাথে মোমিন মন্ডলের সমর্থকদের সংঘর্ষ বেধে যায়। এক পর্যায়ে মিন্টু ফকিরের
সমর্থকদের তাড়া খেয়ে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মোমিন মন্ডলের লোকজন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হন। মিন্টু ফকিরের সর্মথকরা অভিযোগ করেন সংঘর্ষের সময় মোমিন মন্ডলের সমর্থকরা বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। চেয়ারম্যান প্রার্থী মিন্টু ফকিরের কয়েকশ’ সমর্থক লাঠি সোটা নিয়ে কুষ্টিয়া-চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়কে অবস্থান নিলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চালের মোকাম খাজানগর থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গার উদ্দেশ্যে ছোড়া চাল বোঝাই ট্রাকসহ অসংখ্য যানবাহন আটকা পড়ে। প্রায় দুই ঘন্টা পর পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিলে পুনরায় যান চলাচল শুরু হয়। বটতৈল ইউনিয়নের নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আহত মিজানুর রহমান ওরফে মিন্টু ফকির জানান, তিনি সমর্থকদের নিয়ে
প্রচারণায় বের হলে মোমিন মন্ডলের ভাই-ভাইপো সমর্থকরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে
তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে তিনিসহ তার অন্তঃত ২৫ জন সমর্থক আহত
হয়েছেন। তবে এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী মোমিন মন্ডলের
বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও র্যাবের সদস্যরা ঘটনাস্থলে রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে কুষ্টিয়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ
সুপার আতিকুর রহমান জানান, ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ
করছে। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছেন।