কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :
কুষ্টিয়ায় ভুয়া ওয়ারিশ সনদ জালিয়াতি করে অন্যের জমি হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে করা মামলায় সদর উপজেলার ৯নং ঝাউদিয়া ইউনিয়নের চেয়াম্যান কেরামত আলী বিশ্বাসসহ ৯জনকে কারাগারে প্রেরনের আদেশ দিয়েছেন আদালত। রবিবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মহসিন হাসান এর আদালতে ৩মাস পূর্বে জালিয়াতির অভিযোগে করা নালিশী মামলায় অভিযুক্ত দুই নারীসহ ১১জন আদালতে হাজির হয়ে জামিনাবেদন করেন। শুনানী শেষে বিজ্ঞ আদালত দুই নারীর জামিন মঞ্জুর করলেও ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৯জনের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরনের আদেশ দেন। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সদর উপজেলার ৯নং ঝাউদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান ও কেরামত আলী, ইউপি সদস্য গঞ্জের মন্ডলের ছেলে আবুল কাশেম, ঝাউদিয়া গ্রামের ইউসুফ মোল্লার ছেলে রফকবুল মোল্লা ও বিটু মোল্লা, মিরপুর উপজেলার নগরবাকা গ্রামের মৃত: আব্দুল ওয়াদুদের ছেলে আরাম, ঈশ্বরদী উপজেলার ফতেপুর গ্রামের আব্দুল ওয়াহাবের ছেলে বাদল, লিয়াকত, কামাল হোসেন ও জামাল।এই মামলার অপর দুই আসামী ঈশ্বরদী উপজেলার ফতেপুর গ্রামের আব্দুল ওয়াহাবের কণ্যাদ্বয় নারগিস এবং রেহেনা খাতুনকে জামিন দিয়েছেন আদালত। আদালত সূত্রের বরাত দিয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী এ্যাড আজমল হোসেন জানান, কুষ্টিয়ায় সন্ত্রাসী কায়দায় অন্যের জমি জবর দখলের উদ্দেশ্যে ওয়ারিশ সনদ জালিয়াতি করে একটি চক্র নিজেরাই ক্রেতা-বিক্রেতা সেজে অন্যের জমি কেনা-বেচা প্রক্রিয়ায় হাতিয়ে নেয়। ঘওউ বা জাতীয় পরিচয়পত্র ও ওয়ারিশ সনদ জালিয়াতির এই চক্রের সাথে মোটা অংকের টাকা ভাগাভাগী বা হিস্যার বিনিময়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অসাধু সদস্য, রাজনৈতিক প্রভাশালী ও জনপ্রতিনিধিদের প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে পড়ার অভিযেগে মামলা করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত আশরাফুল আলম নামের এক ব্যক্তি। কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ৯নং ঝাউদিয়া ইউনিয়নের নি:সন্তান মৃত: জাহানারা খাতুন নামে এক ব্যক্তির ওয়ারিশ সনদ জালিয়াতির মাধ্যমে তার দেড় একর জমি কুক্ষিগত করার অভিযোগ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কেরামত আলী বিশ্বাসসহ ১১জনের বিরুদ্ধে।নালিশী মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দাখিল করেন আদালতে। সেখানে আনীত অভিযোগ প্রাথমিক ভাবে সত্যতা পাওয়ায় বিজ্ঞ আদালত আসামীদের স্বশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার সমন জারি করেন। রবিবার দুপুরে তারা আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেছিলেন।