কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইবি থানাধীন উজানগ্রাম এলাকার এলাকার হাসান আলীর স্ত্রী জফিরন নেছা (৬০) তার বড় ছেলে মোঃ রবিউল ইসলাম (৪২), মেজো ছেলে মোঃ আলতাফ হোসেন (৩৮) ও ছোট ছেলে আশাদুল ইসলাম (৩০) কে জমির সীমানা দেওয়ার কারণে বেধরক মারপিট করে আহত করেছে একই এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে মোঃ নুরুল আমিন, মৃত ভাদু শেখের ছেলে সিরাজুল ইসলাম, মোকাদ্দেসের ছেলে মোঃ মতিয়ার হোসেন,মতিয়ারের ছেলে মোঃ আলমগীর, মতিয়ারের ছেলে ইসমাইল, ওমর আলীর দুই পুত্র ইব্রাহীম ও মুসা। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উজানগ্রাম এলাকার হাসান আলীর ৫ ছেলে ১০ বছর আগে একই এলাকার ওমর আলীর নিকট থেকে ১০.৩১ শতক জমি ক্রয় করে কিন্তু জমিটি তাদের দখলে বুঝিয়ে দেয়না। হাসান আলীর ছেলেরা অনেকবার বলা সত্বেও ওমর আলীর ছেলেরা জায়গা বুঝে দিতে সংকোচ বোধ করে এবং খারাপ ব্যবহার করে। এ নিয়ে গত ১০ দিন আগে উজানগ্রাম এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত হয়ে উভয় পক্ষের কাগজ দেখে জমি মাপঝোপ করে সীমানা নির্ধারণ করে খুঁটি পুতে দেয়। হঠাৎ করে হাসানের পরিবারের লোকজনেরা দেখতে পারে যে সীমানার খুঁটি নাই। এ নিয়ে গত ৩০/০১/২০২১ ইং তারিখে আনুমানিক সকাল ৭ টার সময় হাসানের ছেলে রবিউল ইসলাম তার চাচাতো ভাই মতিয়ারের ছেলে আলমগীরকে বলে সীমানার খুঁটি তুলেছে কে? জিজ্ঞাসা করলে উত্তরে বলে জানিনা বলে। পরবর্তীতে রবিউল নির্ধারিত সীমানায় পুণরায় খুঁটি পুঁততে গেলে উপরে উল্লিখিত আসামীরা বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রবিউল,আলতাফ,আসাদুল ও তাদের মা জফিরন নেছাকে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এলোপাতারি মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে আহত করে। বর্তমানে রবিউল সহ তার ৩ ভাই ও মা গুরুতর জখম হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে এবং তাদের অবস্থা আশংকাজনক। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া ইবি থানার ওসি বলেন, এ ব্যাপারে উভয় পক্ষ হতে দুটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্ত চলছে। তদন্তের পর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।