কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের রান্না ঘর থেকে দুধ ও মাংস চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়, আনুমানিক দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের অস্থায়ী নিযোগপ্রাপ্ত আয়া শাহানারা হাসপাতালের রান্না ঘর থেকে জ্বালানো ৫ লিটার দুধ ও প্রায় সাড়ে ৫কেজি মুরগির মাংস চুরি করে পালানোর সময় হাসপাতালের সাইকেল স্ট্যান্ড থেকে লোকজন তাকে জেরা করলে লাল বালতিতে থাকা জ্বালানো ৫ লিটার দুধ ফেলে দিয়ে মাংসের ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়।এ সময় চুরিকৃত দুধ হাসপাতালে খাবার সরবরাহকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বরত মিজানুর রহমানের নিকট ফেরৎ দেয় স্থানীয় জনতা। এ ব্যাপারে মিজানুর রহমানের সাথে মুঠো ফোনে কথা বললে তিনি জানান, আমি নামাজে ছিলাম। নামাজ শেষে ফিরে আসলে যারা এই লাল বালতি ভর্তি জ্বালানো ৫ লিটার দুধ উদ্ধার করে তারা আমাকে ফেরৎ দেয় এবং জানায়, আয়া শাহানারা ব্যাগে মাংস ও হাতে বালতি ভর্তি দুধ নিয়ে পালানোর সময় হাতেনাতে আটক করলে শাহানারা পালিয়ে যায়।মিজানুর রহমান আরও জানান, আমার নিকট এই দুধ রয়েছে আমি তাৎক্ষনিক কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার আশরাফুল আলমকে জানায়। তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন। একটি সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালের ওয়ার্ড মাষ্টার শরীফ উদ্দিনের ইন্ধনে হাসপাতালের রান্না ঘর থেকে দীর্ঘদিন নিয়মিত মাংস, দুধ, ডিম ও চাউল নিয়ে যায় একটি চক্র। গতকালকে কথিত আয়া শাহানারা তারই ইন্ধনে দুধ ও মাংস কোথায় নিয়ে যাচ্ছিল শাহানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই বেরিয়ে আসবে থলের বিড়াল। এছাড়াও গতকাল হাসপাতালের রান্না ঘর থেকে ১ বস্তা চাউল সিকিউরিটি গার্ডের মাধ্যমে চুরি হয়েছে বলে রান্নাঘরে চাকুরীরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মচারী জানান। এ ব্যাপারে জেনারেল হাসপাতালের ওয়ার্ড মাষ্টার শরিফ উদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে, তিনি জানান, এই ঘটনার সাথে তিনি সম্পৃক্ত নয়। ২০০৬ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত তিনি দীর্ঘ ১৫ বছর এই হাসপাতালে চাকুরী করছেন।কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার আশরাফুল আলমের সাথে গতকাল রাতে মুঠোফোনে কথা বললে, তিনি বলেন, এই চুরির ঘটনা তিনি সব শুনেছেন ও উপ-পরিচালকের নিকট বিষয়টি জানিয়েছেন। তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।