কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :
কুষ্টিয়ায় বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ৪টি পৌরসভায় মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন পত্র দাখিল।
কুষ্টিয়া জেলা রিটানিং অফিসার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে ৫টি পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জাসদ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ১৩ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন।
সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২০৬ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৬০ জন তাদের মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন।
শেষ দিনে রবিবার দিনভর কুষ্টিয়া সদরসহ ৫টি পৌরসভায় এসব মনোনয়ন পত্র দাখিল হয়েছে।
কুষ্টিয়া পৌরসভা নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার আলীর মনোনয়ন পত্র জমা দেয়া হয়েছে।
রবিবার বেলা ১ টায় কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও জেলা রিটানিং অফিসার লুৎফুন নাহারের নিকট এ মনোনয়ন পত্র জমা দেয়া হয়।
কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব সদর উদ্দিন খান এবং সাধারণ সম্পাদক মোঃ আজগর আলীর নেতৃত্বে মনোনয়ন পত্র জমা প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী রবিউল ইসলাম।
উল্লেখ্য কুষ্টিয়া পৌরসভার মেয়র প্রার্থী আনোয়ার আলী ১৯৮৯ সালে প্রথমে কুষ্টিয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৮৯-১৯৯১, ১৯৯৩-১৯৯৯, ২০০৪-২০১৬ এবং ২০১৬ থেকে আজ পর্যন্ত চেয়ারম্যান/ মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এছাড়া বেলা সোয়া ১ টায় কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও জেলা রিটানিং অফিসার লুৎফুন নাহারের নিকট জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি বশিরুল আলম চাঁদ দলীয় নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে মেয়র পদে নির্বাচনের জন্য তার মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
এসময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এখানে কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরা সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার ছামিউল আলমের নিকট মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন।
এ সময় ১ নং ওয়ার্ড থেকে সাংবাদিক মিজানু রহমান ভিজা, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে আরও ৩ জনকে মনোনয়ন পত্র দাখিল করতে দেখা গেছে।
কুষ্টিয়ার কুমারখালী পৌরসভা নির্বাচনে ঘোষিত তফশীল অনুযায়ী শেষ দিনে মেয়র ২, সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে ৮ এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৬ জন প্রার্থীর মনোনয়ন ফরম দাখিল।
আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাছাই কমিটির চুড়ান্ত সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কুমারখালী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র সামছুজ্জামান অরুন কে দলের প্রার্থীতা ঘোষণা করেন, অন্যদিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কুমারখালী পৌর যুবদলের সভাপতি মোঃ আনিছুর রহমান লালুকে চুড়ান্ত ভাবে মেয়র প্রার্থী হিসাবে মনোনীত করেন।
ভেড়ামারা পৌরসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হতে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা পৌরসভায় মোট ৫ জন, মেয়র প্রার্থী রবিবার মনোনয়ন ফরম জমা দানের শেষ দিনে জমা দিলেন মেয়র পদে মনোনয়ন ফরম। নির্বাচন অফিস সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
আওয়ামীলীগ দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্ত নৌকা প্রতীক এর প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব শামিমুল ইসলাম ছানা, জাসদ মনোনীত মেয়র প্রার্থী জাতীয় যুবজোট উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি মশাল প্রতীকের আনোয়ারুল কবির টুটুল, ২০ দলীয় জোটের মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী যুবদল নেতা ও রেলবাজার বণিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামিম রেজা, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন মনোনীত হাত পাখা মার্কার প্রার্থী হাবিবুল্লাহ বেলালী এবং একমাত্র স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হিসেবে বাংলার মাটি রক্ষা জাতীয় কমিটি ও কুষ্টিয়া জেলা সিএনজি মালিক সমিতির সমর্থিত বিশিষ্ট সমাজ সেবক সোলায়মান চিশতী মনোনয়ন ফরম জমা দেন।
এছাড়াও পুরুষ কাউন্সিলর ২৮ ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ১০ জন মনোনয়ন জামা দিয়েছেন। আগামী ১৬ ই জানুয়ারি ভেড়ামারা পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আসন্ন পৌর নির্বাচনে মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিংকন বিশ্বাসের নিকট আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী হাজী এনামুল হক, বিএনপির গোলাম রব্বানী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ আরিফুর রহমান মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। এখানে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৭ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ৯ জন মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন।
নির্বাচনে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ করা গেছে বলে জানালেন জেলা রিটানিং অফিসার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) লুৎফুন নাহার জানান, আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র দাখিলের উৎসব দেখে খুব ভালো লাগলো। মানুষের মধ্যে একটা উৎসব ভাব ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি জানান, নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও অবাধ করতে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন সব ধরণের প্রস্তুতি গ্রহন করেছে।
এর আগে খোকসা পৌরসভা নির্বাচনের মনোনয় পত্র দাখিল, যাচাই-বাছাই, প্রতিক বরাদ্ধসহ সার্বিক বিষয়ে কাজ শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন।
আগামী ২৮ ডিসেম্বর ভোট গ্রহনের তারিখ নির্ধারিত হয়েছে।