কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ায় সার ভর্তি ট্রাক ঘন্টার পর ঘন্টা রাস্তা দখল করে থাকায় এবং গোডাউনের ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম এর দ্বায়িত্ব অবহেলায় এ,ড,সি জেনারেলের বাসভবনের প্রধান ফটক ও প্রাচীর গুড়িয়ে গেলো, সাথে এ,ডি,সি জেনালের শিশু বাচ্চা আহত। শনিবার বেলা ১২ টার দিকে কুষ্টিয়া মিলপাড়ায় এ,ডি,সি জেনারেলের বাসভবনের সামনে সার ভর্তি ট্রাক লাইন ধরে দারিয়ে থাকা কালে অপর পাস দিয়ে আরেকটি ট্রাক পাসকাটিয়ে যাবার সময় একটি ট্রাক রাস্তার পাসের প্রাচীর ও প্রধান ফটকের উপর পরে যায়, প্রাচীর ও ফটক গুড়িয়ে যায় এবং বাসার ভেতরেই এ,ডি,সি জেনারেলের বাচ্চা ছেলে খেলা করছিলো সে সময় সে মাথায় আঘাত পায়, তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।স্থানীয়রা বলছে এইভাবে ট্রাক রাস্তা দখল করায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে। এই দুর্ঘটনা ঘটতো না যদি গোডাউনের ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম এগুলো দেখতেন বা সঠিক ভাবে দ্বায়িত্ব পালন করতেন।কুষ্টিয়াতে সরকারি সারের ডিলারের গোডাউন হিসেবে ঐতিহ্যবাহী মোহিনী মিলে এক অংশে ব্যাবহার হচ্ছে।এই গোডাউনে প্রতিদিনই সার বোঝাইকৃত ট্রাক লোড আনলোড হয়। জায়গার সংকির্নতার কারনে গোডাউনের ট্রাক গুলো বিক্ষিপ্ত ভাবে অত্র এলাকার রাস্তা গুলো দখল করে রাখে, ফলে প্রতিনিয়ত ছোট খাটো দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। প্রতিদিন মিলপাড়া মোহিনী মিলের আসপাশের প্রায় প্রতিটি রাস্তায় এই গোডাউনের ট্রাক দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে থাকে, ফলে ব্যাহত হয় সাধারণ মানুষের চলাচলে। আবাসিক এলাকা রাস্তার প্রশস্ততা কম তারপর প্রতিটি রাস্তায় থাকে লাইনের পর লাইন সার ভর্তি ট্রাক। ট্রাক পাস কাটিয়ে কোন রিকশা বা অটো চলাচল করতে গেলেই প্রায় প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনা ঘটছে অথবা পাসের ড্রেনে যাত্রী নিয়ে পরে যেতে হচ্ছে এসব বাহন গুলোকে। এমনকি এই মহামারীতে কোন এম্বুলেন্স ও যাওয়া দুস্কর জরুরী রুগী নিয়ে। এলাকার মানুষ বলেন রাস্তার ট্যাক্স আমরা দিই আর আমরাই যদি রাস্তা ব্যাবহার না করতে পারি তাহলে কি রাস্টার সকল ট্যাক্স কি গোডাউন কতৃপক্ষ দিয়ে থাকে? তাদের দাবি এলাকার সকল রাস্তা থেকে ট্রাক সরাতে হবে এবং এই ট্রাক গুলোর কারনে যেন আমাদের চলাচলে কোন বাধার কারন না হয়।এই ব্যাপারে গোডাউন ইনচার্জ মনিরুল ইসলামের সাথে কথা হলে উনি বলেন গতবছর ও তো আমরা এভাবেই ট্রাক রেখেছি, আমাদের যায়গা নাই তাই আমরা ট্রাক রাস্তায় রাখি, আবার উনি বলেন ট্রাক রাখছি এটা সাময়িক। আর আজকের দুর্ঘটনার জন্য দু:খিত।