কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :- কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের উত্তর মিরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ মহিবুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর নানা অভিযোগ উঠেছে- মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার বরাদ্দকৃত উত্তর মিরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চারতলা বিশিষ্ট ভবনের কাজ শুরু হয়েছে প্রায় ১০ মাস যাবত।এই সময়ের মধ্যে মোঃমহিবুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে*আজ সকাল আনুমানিক ১০,ঘটিকার সময় মোঃ হামিদুল ফরাজী উত্তর মিরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় দু-নাম্বার’বালু দিয়ে কাজ করা দেখতে পান কাজ দেখা মাত্র তিনি উত্তর মিরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ মহিবুল ইসলাম কে জানান যে এইরকম দু’নম্বর বালু দিয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠান কাজ করা হচ্ছে কেনো।সে সময় মোঃ মহিবুল ইসলাম বলেন আপনি কে কাজ দেখার সে_সময় মোঃহামিদুল ফারাজী বলেন আমি এই এলাকার সন্তান আমার জন্মভূমি উত্তর মিরপুরে সরকারি প্রতিষ্ঠান কাজ হচ্ছে আমার এলাকাতে এইটা আমার দেখে নেওয়া কর্তব্য।সেই সময় মোঃ মহিবুল ইসলাম তাকে বিভিন্নভাবে গালিগালাজ করেন এবং হুমকি-ধামকি ও দেন।বলেন যে সিডিউল এ দেওয়া আছে আর সিডিউল অনুযায়ী কাজ হচ্ছে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির জেরে এলাকাবাসী সেখানে ছুটে আসে এবং সবাই বলেন যে এই রকম বালু দিয়ে নিজের ঘরবাড়ি ও তৈরি করে না আর সেই বালু দিয়ে কিভাবে একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাজ করা হয় ঘটনাস্থলে থাকা গ্রামবাসীদের-খারাপ ভাষয় গালিগালাজ দেন এবং হুমকি-ধামকি দেন। ঘটনাস্থলে সাংবাদিকবৃন্দ আসলে মোঃ মহিবুল ইসলাম সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন।গত কয়েকদিন আগে এক জন বৃদ্ধা মহিলার গরুর গোবরের নুড়ি দেওয়া কেন্দ্র করে,উক্ত মহিলা কে মোঃমহিবুল ইসলাম বিভিন্ন খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করে,এবং তাকে শিলতাহানির হুমকি দেয়।যদি ও স্কুল প্রাঙ্গনের ৫০০ মিটারের ভিতরে গরুর গোবরের নুড়ি দেওয়া নিষিদ্ধ ছিল তার পরে ও বৃদ্ধা মহিলার সাথে অসামঞ্জস্য পূর্ণ কথাবাত্রা বলা ও হুমকি-ধামকি দেওয়া উচিত হয়নি বলে মনে করেন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।এ ছাড়া,আনুমানিক ১ মাস আগে স্কুলের নতুন বস্তা সিমেন্ট আসে যার প্রতি বস্তা মেয়াদ উত্তীর্ণ ছিল, যদিও গ্রামের সবাই মিলে উক্ত পঞ্চাশ বস্তা সিমেন্ট ফিরিয়ে দেয় ঠিক তার ৩ দিন পরে জালিয়াতি করে আবারো নতুন পঞ্চাশ বস্তা সিমেন্ট নিয়ে আসে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় প্রতি বস্তার ওজন ছিল পয়ত্রিশ কেজি। গত জুন মাসে এলাকার কিছু গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ স্কুলের কাজ পরিদর্শন করতে যায় এবং সিডিউল দেখতে চাই কিন্তু উক্ত স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃমহিবুল ইসলাম তাদেরকে স্পষ্ট স্বরে না করে দেয়। তারপরে দুই পক্ষের ভিতরে বাকবিতন্ডের সৃষ্টি হয়, এবং অনেক লোক জড়ো হয় স্পষ্টভাবে বুঝা যায় তাদের ভিতর দুর্নীতি ও জালিয়াতি কাজ করছে এটাই মনে করেন এলাকাবাসী।এ ব্যাপারে স্কুলের সভাপতি মিজানুর রহামন মুসার সাথে মোবাইলে মাধ্যমে যোগাযোগ চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়