কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :
কুষ্টিয়ায় গরু চুরির মামলার সন্দেহভাজন আসামিকে পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে আদালতে তোলা হলে আশরাফুল ইসলাম (৪২) নামে এক আসামি এই অভিযোগ করেন।কুষ্টিয়ার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মো. মহসিন হাসান শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপারকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার আদেশ দেন।আশরাফুল সদর উপজেলার আব্দালপুর মাঠপাড়ার নায়েব আলী মণ্ডলের ছেলে।তিনি আদালতে অভিযোগ করেন, গত ৮ নভেম্বর গভীর রাতে তাকে হাতকড়া পরিয়ে চোখ বেঁধে বেধড়ক মারধর করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার এসআই আব্দুর রহমান। তারপর তাকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে পুলিশের শেখানো কথা আদালতে বলতে চাপ দেওয়া হয়।আদালত আসামির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে পাঠানোর আদেশ দেয়। হাসপাতাল থেকে দেওয়া সনদে আসামিকে শারীরিকভাবে নির্যাতনের সত্যতা মেলে।আদালতের আদেশে বলা হয়েছে, আসামির বক্তব্য, চিকিৎসা সনদ ও মামলার নথি পর্যালোচনায় পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে।কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা তাপস কুমার সরকার বলেন, বুধবার দুপুরে আদালতের জিআরও এএসআই স্বপন হাসপাতালে নিয়ে আসেন আশরাফুলকে। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘঅতের চিহ্ন আছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেওয়া হয়।তবে এসআই আব্দুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।তিনি বলেন, “আমার হেফাজতে কোনো আসামিকে নির্যাতন করা হয়নি। আসামি আশরাফুলের ডাক্তারি পরীক্ষায় যদি নির্যাতনের কোনো প্রমাণ থাকে তাহলে আমি অভিযোগ মাথা পেতে নেব।এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভির আরাফাত বলেন, “আদালতের কোনো নির্দেশনা আমার কাছে আসেনি। নির্দেশনা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।