আকরামুজ্জামান আরিফ ,কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসকে দুর্নীতির আতুড়ঘর বানিয়েছে সহকারী ভূমি কর্মকর্তা এস এম শাজাহান আলী। ভূমি অফিসে কাজ নিয়ে গেলেই তাদের কাছে টাকা দাবী করেন শাজাহান আলী। এ বিষয়ে কয়েকজন ভুক্তভোগী অভিযোগ জানিয়েছেন।জানা যায়, গত ২৫ জানুয়ারী ২০২০ তারিখে আব্দুর রাজ্জাক নামের এক ব্যক্তি জমির নাম খারিজের রিপোর্ট নিতে গেলে তার কাছে ১০ হাজার টাকা দাবী করেন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা এস এম শাজাহান আলী। কেন এত টাকা দিতে হবে আব্দুর রাজ্জাক এমন প্রশ্ন করলে শাজাহান আলী বলেন, “জমির কাজ করতে আসলে টাকা দিতে হয়। টাকা ছাড়া কাজ হয় না”। টাকা দেওয়া হলে সরকারি কোন রশিদ প্রদান করা হবে কিনা জানতে চাইলে শাজাহান আলী বলেন, “এই টাকার কোন রশিদ দেওয়া হয় না। এটা আনঅফিসিয়ালী”। এ নিয়ে শাজাহান আলীর সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে কোন কথা বলতে চাই না। এছাড়াও মুকুল নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে জমি সংক্রান্ত কাগজাদির ঝামেলা শেষ করতে ১৫ হাজার টাকা নিয়েছেন বলেও জানা গেছে।বুধবার (২৭ জানুয়ারী) হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে সরেজমিনে যায় সাংবাদিকদের একটি টিম। তার এসমস্ত দূর্নীতির বিষয়ে জানতে চাইলে শাজাহান আলী কোন সদোত্তর দিতে পারেনি। বরং সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন তিনি। এসময় যে ভুক্তভোগীর কাছে টাকা চাওয়া হয় তিনিও উপস্থিত ছিলেন। ওই ভুক্তভোগী যখন সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন সেসময় ভূমি কর্মকর্তা শাজাহান আলী কোন উত্তর দিতে না পেরে চুপ করে থাকেন। হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে সহকারী ভূমি কর্মকর্তা শাজাহান আলীর এসমস্ত দুর্নীতি সহযোগিতা করেন পল্টু ও টাইগার নামের দুই ব্যক্তি। এই দুই ব্যক্তি বিভিন্ন জনকে সাথে করেন নিয়ে আসেন এবং তাদের কাজ সমাধান করতে টাকা দাবী করেন।এ বিষয়ে হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম সম্পা মাহমুদ বলেন, আমিও শুনেছি ওখানে দুর্নীতি করা হয়। ওই সহকারী ভূমি কর্মকর্তা টাকা ছাড়া কোন কাজ করে না এবং সাধারণ মানুষকে হয়রানি করেন। আমি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলবো এবং উনার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করছি।কুষ্টিয়া সদর উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা বলেন, আমার কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে আমি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।