কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়া সদর উপজেলার প্রস্তাবিত কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর এলাকায় চুরি হয়ে যাওয়া গরু কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদারের নির্দেশে অদৃশ্য কারনেই ছেড়ে দেন কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সেকেন্দার আলী মন্ডল ।থানায় গরু চুরির অভিযোগ থাকলেও অদৃশ্য কারনে ওসির নির্দেশে চোরাইকৃত গরু ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ছেড়ে দেওয়ার পর থেকে উক্ত এলাকায় ব্যাপক গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে।অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত ১৬ অক্টোবর ২০২০ ইং তারিখ আনুমানিক ১০ টার সময় ভবানীপুর গ্রামের আফাজ উদ্দিনের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৬০) ও তার ভাইদের পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হত্যার উদ্দেশ্যে একই এলাকার মৃত তোরাফ সেখের ছেলে রাশিদুল ইসলাম (৪০, আব্দুল কুদ্দুস সখাতীর ছেলে লাবু সখাতী (৫৬), নেতৃত্বে আরো ১২ জন আনোয়ারের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়ির বৈদ্যুতিক মিটার এবং রাইস মিলের বৈদ্যুতিক মিটার ভাংচুর করে। তারপর আনোয়ারের বাড়িতে থাকা ৩ টি গরু (যার মধ্যে ১ টি গাভী, ১ টি বাছুর এবং ১ টি এড়ে গরু) গোয়াল থেকে খুলে নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য ১ লক্ষ্য ৭০ হাজার টাকা, ও ২ টি পানির পাম্প যার মুল্য ১০ হাজার টাকা ও ১ টি ষ্ট্যান্ড ফ্যান যার মূল্য ৫ হাজার ছয়শ টাকা অস্ত্র সস্ত্র দেখিয়ে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় আসামীদের বিরুদ্ধে বাদি হয়ে গত ১৭ অক্টোবর ২০২০ ইং তারিখে একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেন আনোয়ার হোসেন। থানায় এজাহারের পরের দিন গতকাল ১৮ অক্টোবর ২০২০ ইং তারিখে এলাকায় চুরি হয়ে যাওয়া গরু উদ্ধার করে মডেল থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদারের নির্দেশে ছেড়ে দেন প্রস্তাবিত কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সেকেন্দার আলী মন্ডল।উল্লেখ্য, গত ১০/১০/২০২০ ইং তারিখে ভাবানীপুর গ্রামের আফাজ উদ্দিনের ছেলে সিঙ্গাপুর প্রবাসী গোলাম সরোয়ারের কাছে দাবীকৃত চাঁদা না দেওয়ার কারনে বেধড়ক পেটানোর ঘটনায় প্রস্তাবিত কাজ্ঞনপুর ইউনিয়নের ভাবনীপুর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক লিয়াকত আলী ওরফে বাদশা- আওয়ামীলীগ নেতা রেজা মন্ডল গ্রুপের সাথে জিয়ারখী ইউনিয়নের সাবেক ওয়ার্ড বিএনপির সাধারন সম্পাদক ও বর্তমান নব্য যুবলীগের নেতা রাশিদুল ইসলাম-বিএনপির সক্রিয় সদস্য লাবু শকাতি পক্ষের লোকজনদের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এরপর গত বৃহস্পতিবার সন্ধায় স্থানীয় আওয়ামীল নেতা রেজার ছেলে রাসেল ভবানীপুর মাদ্রাসা মোড়ে চা পান করতে গেলে তাকে বেধড়ক মারপিট করে লাবু শকাতীর ভাই মুনিসহ আরো ১০/১২জন। এ ঘটনার পর এলাকায় চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতির তৈরি হয়। গতকাল ভোর রাতে বিএনপি নেতা রাশিদুল ও শকাতি পক্ষের লোকজন সংবদ্ধ হয়ে হঠাত করে বাদশা-রেজা মন্ডলের বাড়ি ঘিরে ভাংচুর শুরু করলে দুই পক্ষের লোকজনদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে রেজা মন্ডলকে কুপিয়ে জখম করলে। আত্মরক্ষাত্যে উভয় গ্র“পের মধ্যে তুমূল সংর্ষের সৃষ্টি হয়। প্রায় ২ ঘন্টা সংর্ঘে ফরিদ গুরুত্বর অঅহত হয়। এতে দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে উভয় পক্ষের অন্তত আরো ১৫ জন আহত হয়। আহত ফরিদ হোসেন কে চিকিসার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথেই মারা যায়। এ ঘটনায় পর থেকে গ্রামটি পুরুষ শূণ্য হয়ে পড়ে।এ বিষয়ে প্রস্তাবিত কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সেকেন্দার আলী মন্ডলের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আনোয়ারের হোসেনের চোরাইকৃত গরু উদ্ধার করতে আমাকে অনেক সাহায্য করেছে লাবু সকাতী ও রাশিদুল ইসলাম।গরু উদ্ধারের পর আমি ওসির সাথে কথা বলেছি ওসির দিক নির্দেশনায় অামি ছেড়ে দিয়েছি।এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন,