কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়ায় উদ্বেগজনক হারে বেড়েই চলেছে করোনা সংক্রমণ। বিশেষ করে ঈদের পর থেকে এই সংক্রমণের হার বাড়তে শুরু করেছে। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে গত ২৪ ঘন্টায় রোববার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালে জেলায় আরো ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন ১৫৭ জন।কুষ্টিয়ায় ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১১৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে কুষ্টিয়ায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ৬ হাজার ৫৪১ জনের। আক্রান্তের ক্ষেত্রেও অধিকাংশ রোগী কুষ্টিয়া শহরকেন্দ্রিক। বিশেষ করে ঈদের পর থেকে এই সংক্রমণের হার উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে শুরু করেছে। সংক্রমণের হার স্থিতিশীল থাকলেও গত তিন দিনের তুলনায় কমেছে মৃত্যুর হার।কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের নিয়মিত করোনা আপডেট তথ্যনুযায়ী, সোমবার কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পিসিআর ল্যাব ও এন্টিজেন টেস্ট মোট ৩২৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এরমধ্যে ১১৯ টি নমুনা পজিটিভ হয়। নতুন শনাক্ত হওয়ার রোগীর মধ্যে সদর উপজেলায় ৩৯ জন, কুমারখালী উপজেলায় ২৫ জন, মিরপুর উপজেলায় ২০ জন, দৌলতপুরে ১৪ জন, খোকসা উপজেলায় ১২ জন ও ভেড়ামারা উপজেলায় ৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতের আবাসিক চিকিৎসক(আরএমও) ডা. তাপস কুমার সরকার বলেন, গত তিনদিনে হাসপাতালে গড়ে ৭-৮ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তবে করোনায় আক্রান্ত রোগীর ভর্তিও সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে।কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিনটি ওয়ার্ড রোগীতে টইটম্বুর। বেড ছাড়িয়ে মেঝেতে ঠাঁই হয়েছে ভর্তি হওয়া অনেক রোগীর। হাসপাতালের তথ্য বলছে, ৩টি ওয়ার্ডে করোনা বেডের সংখ্যা ১০০টি। গতকাল সোমবার দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালে ১৩২ জন করোনা রোগীকে চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে।হাসপাতাল সূত্র জানায়, করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা অর্ধেক রোগীর ২৪ ঘণ্টা অক্সিজেন সাপোর্ট দিতে হচ্ছে। বিশেষ করে রাতের বেলায় রোগীদের অক্সিজেন সাপোর্টের দরকার হচ্ছে বেশি। হাসপাতালে ৩৪৭টি অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে। কিন্তু প্রতিদিন গড়ে ১২০টি সিলিন্ডার রিফিল করতে হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে কয়েক দিনের মধ্যে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। য়ে ছোটাছুটি করতে দেখা গেল।সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন,পুরো জেলাজুড়ে গ্রামে গ্রামে করোনা ছড়িয়ে পড়েছে। যাঁরা মারা যাচ্ছেন, তাঁদের অর্ধেকই গ্রামের বাসিন্দা। তাঁরা আগে থেকেই বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত। এখনো সময় আছে সবাইকে পরিস্থিতি মেনে নিয়ে ঘরে থাকতে হবে