কুষ্টিয়া প্রতিনিধি !!!
অস্বাভাবিক হারে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ার কারণে কুষ্টিয়ায় আশঙ্কাজনক হারে করোনা সংক্রমণের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যু। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩২৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। রেকর্ড শনাক্তের দিনে আরও ৯ জন মারা গেছেন।কুষ্টিয়া জেলায় এটিই এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত। ৮৩০ নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩৯.০৩ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (০১ জুলাই ) সকাল ১০টার দিকে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও কুষ্টিয়া জেলা সিভিল সার্জন অফিস থেকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ নিয়ে কুষ্টিয়া জেলায় এখন পর্যন্ত ৮ হাজার ৫০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যু ২১১ জন। সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৫৩৫ জন।
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় করোনাভাইরাস শনাক্তের হার ৩৯ দশমিক ০৩ শতাংশ। নতুন করে শনাক্ত হওয়া ৩২৪ জনের মধ্যে কুষ্টিয়া সদরের ১১৩ জন, কুমারখালীর ৫৪ জন, দৌলতপুরের ৪৯ জন, মিরপুরের ৩৩ জন, ভেড়ামারার ৫২ জন এবং খোকসার ২৩ জন রয়েছেন। মারা যাওয়া ৯ জনের মধ্যে একজন ভেড়ামারা উপজেলার এবং ২ জন করে সদর উপজেলা, দৌলতপুর, কুমারখালী এবং মিরপুর উপজেলার বাসিন্দা।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. তাপস কুমার সরকার বলেন, ‘হাসপাতালে বাড়ছে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রোগীর চাপ। চাপ সামলাতে সবাইকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। যারা ভর্তি হচ্ছেন তাদের প্রায় প্রত্যেককেই অক্সিজেন সাপোর্ট দিতে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, কয়েক দিন থেকে হাসপাতালে করোনা রোগী ছাড়া আর অন্য কোনো রোগী ভর্তি নেয়া হচ্ছে না। হাসপাতালকে করোনা ডেডিকেটেড ঘোষণা করে জরুরী বিভাগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অন্য রোগীদের পার্শ্ববর্তী ডায়াবেটিস ও আদ্বদীন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে বলা হয়েছে।’
কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে বর্তমান সময়ে সর্বোচ্চ শনাক্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড হচ্ছে। সম্প্রতি কুষ্টিয়া পৌরসভায় সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। কিন্তু এখানে কঠোর লকডাউন চলছে। এরপরও কেন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, তা নিয়ে গবেষণা করা প্রয়োজন। করোনার সংক্রমণ যে হারে বাড়ছে, তাতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া বেশ কঠিন হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।