কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ায় বয়স্ক ও মাতৃত্বকালীন ভাতার কার্ড এবং সরকারি ঘর পাইয়ে দেয়ার কথা বলে টাকা আত্মসাতের দায়ে আব্দুর রাজ্জাক মল্লিক নামে এক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন কুষ্টিয়া আদালত। রোববার (০৪ অক্টোবর) দুপুরে কুষ্টিয়া জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতের বিচারক সেলিনা খাতুনের আদালত স্ব-প্রণোদিত হয়ে মামলাটি রেকর্ড করেন। পরে ঐ আদালত কর্তৃক ইস্যুকৃত ক্রিমিনাল মিস কেস নম্বর- খোকসা ০১/২০২০ ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা-১৯০(১)(সি) ধারায় আমলযোগ্য মামলার আদেশের কপি সংশ্লিষ্ট খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর পাঠানো হয়েছে বলে আদালত সূত্র নিশ্চিত করেছেন। আদালত সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়ার খোকসা থানাধীন গোপগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুর রাজ্জাক মল্লিকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠায় আদালত এ মামলা করেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, খোকসার গোপগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার (ইউপি সদস্য) আব্দুর রাজ্জাক মল্লিক ও তার সহযোগী ওসমান শেখ ঐ ইউনিয়নের সবগুলো ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের বয়স্ক ও মাতৃত্বকালীন ভাতার কার্ড এবং সরকারি ঘর পাইয়ে দেয়ার কথা বলে প্রত্যেকের নিকট থেকে ৪/৫ হাজার করে টাকা নিয়েছেন। কিন্তু এইসব হত দরিদ্র মানুষের ভাগ্যে মেলেনি কার্ড। এ নিয়ে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে ‘অর্থ আত্মসাৎ করলেন মেম্বার ও তার সহযোগী’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের দৃষ্টিগোচর হয়। ঐ মামলায় আগামী ১৯/১১/২০২০ তারিখের মধ্যে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণসহ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে জানতেে ঐ ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক মল্লিকের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। গোপগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন জানান, ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক মল্লিকের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে কোনো ব্যক্তি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করেনি। তবে মূল ঘটনাটি কি সেটা আগে জানতে হবে। আমি ঢাকায় থাকার কারণে সঠিক বিষয়টি জানি না। খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মস্তফা জানান, আদালত থেকে আদেশের কপি এখনো থানায় আসেনি। এলে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে