Friday , 22 November 2024
E- mail: news@dainiksakalbela.com/ sakalbela1997@gmail.com
ব্রেকিং নিউজ
কুলাউড়ায় বসতবাড়িতে পোল্ট্রি ফার্ম, পরিবেশ দূষণে জনজীবন অতিষ্ঠ
--প্রেরিত ছবি

কুলাউড়ায় বসতবাড়িতে পোল্ট্রি ফার্ম, পরিবেশ দূষণে জনজীবন অতিষ্ঠ

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:কুলাউড়া উপজেলা ভাটেরা ইউনিয়নের খারপাড়া গ্রামে পরিবেশ আইন না মেনে করোনার মধ্যেও বসতবাড়িতে গড়ে উঠা পোল্ট্রি ফার্মে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। জনবসতি এলাকা থেকে দু’শ গজ দূরে পোল্ট্রি ফার্ম স্থাপনের নিয়মনীতি থাকলেও আইনের তোয়াক্কা না করে চলছে পোল্ট্রি ফার্ম। মুরগির স্বভাবজাত গন্ধ ও বিষ্ঠার গন্ধের পাশাপাশি মশা-মাছির উপদ্রব বৃদ্ধি পাওয়ায় বসবাস অযোগ্য হয়ে পড়েছে মোঃ জায়েদ হোসেনসহ এলকাবাসীরা। দুর্গন্ধের কারণে বয়স্ক মানুষ,সন্তান সম্ভ্যবা ও শিশুরা রয়েছেন চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের নিবন্ধনসহ প্রয়োজনীয় কোন কাগজপত্রের তোয়াক্কা না করে ফার্মের মালিক মোঃ রহমত আলী বহাল তবিয়তে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন।
অপরিকল্পিত ভাবে গড়ে উঠা পোল্ট্রি ফার্ম বন্ধ না করে বাঁধা দানকারী মোঃ জাহেদ হোসেনকে আসামী করে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পিটিশন মামলা (নং- ১২৯/২০২০) দায়ের করেছেন পোল্ট্রি ফার্মের মালিক মোঃ রহমত আলী। সর্বশেষ প্রাপ্ত সংবাদে জানা গেছে, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মামলার ঘটনায় কুলাউড়া থানা পুলিশ বিরোধীয় ভূমীতে শান্তি-শৃংঙখলা বজায় রাখার জন্য উভয়পক্ষকে নোটিশ প্রদান করেছেন। স্থানীয় ও প্রতক্ষ্যদর্শী সুত্র জানায়, স্ব-পরিবারে বসবাসের স্থানে বড় ভাই মোঃ রহমত আলী একটি মুরগীর খামার পরিচালনা করে আসছেন। খামরটির দুর্গদ্ধে অতিষ্ট হয়ে উঠেন স্থানীয়রা। পরিবারের শিশুসহ অন্যান্য লোকজন নানা জঠিল রোগে ভুগতে থাকেন। এ নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলছিলো। যার ফলশ্রুতিতে ছোট ভাই মোঃ জাহেদ হোসেনের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে এ মামলা দায়ের করেছেন। ভুক্তভোগী মোঃ জাহেদ হোসেন বলেন- বর্তমান করোনার সংক্রমণ এর ভয়ে মানুষ স্বাভাবিক ভাবে চলা ফেরা করতে পারছে না। এর মধ্যে পরিবেশ দূষণ করে তিনি গড়ে তুলেছেন এ খামার। আমাদের পরিবারের লোকজন অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
 তিনি অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন- বড় ভাই মোঃ রহমত আলীর পক্ষ নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম আমাকে তার অফিসে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক আমার স্বাক্ষর গ্রহণ করেছেন। এ ব্যপারে জানতে চাইলে ভাটেরা ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার মজিদ মিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন- পারিবারিক ভাবে একাধিকবার সালিশ-বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। চেয়ারম্যান সাহেব জাহেদ হোসেন এর কাছ থেকে জোরপূর্বক স্বাক্ষর গ্রহণ করেছেন মর্মে জাহেদ আমাকে অবগত করেছে। এ ব্যপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম এর সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

About Syed Enamul Huq

Leave a Reply