কুয়াকাটা প্রতিনিধি:
কুয়াকাটা পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মজিবর রহমানসহ পুলিশের হাতে আটককৃত পাঁচজন কোনো ধরনের জুয়ার আসরে বসেনি বরং তারা সময় কাটানোর জন্য তাস খেলছিল বলে দাবি কুয়াকাটা পৌর ছাত্রলীগের।
শনিবার দুপুরে কুয়াকাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কুয়াকাটা পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. তাইফুর রহমান হাসান।
এসময় লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য এবং কুয়াকাটা পৌর মেয়র আ. বারেক মোল্লার পক্ষাবলম্বন করার জন্যই পুলিশ অহেতুকভাবে তাদের হয়রানি করছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ঘটনার সময় ছাত্রলীগের দুইকর্মীসহ তিন চারজন তাস খেলার সময় মহিপুর থানা পুলিশ তাদেরকে আটক করতে গেলে তখন হোটেল মালিকের সাথে পুলিশের কথাকাটাকাটি ও ধস্তাধস্তি হয়। এমন খবর পেয়ে পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মজিবর সেখানে উপস্থিত হলে পুলিশের সাথে তারও কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সেখান থেকে পুলিশ মজিবরসহ পাঁচজনকে আটক করে এবং তাদের বিরুদ্ধে দুটি পৃথক মামলা দায়ের করে পুলিশ। একটি মামলা জুয়া খেলার অভিযোগে আরেকটি পুলিশের কাজে বাধা প্রদান।
অপরদিকে ছাত্রলীগের এসব অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করে মহিপুর থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, ঘটনার আগে ও পরের সকল ভিডিও ধারণ করা আছে, প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীও আছেন। স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতেই গত ১৭ আগস্ট হোটেল কিংস এর রুমে জুয়ার আসর থেকে মজিবরসহ পাঁচজনকে জুয়া খেলার সরঞ্জামসহ আটক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৭ আগস্ট রাতে কুয়াকাটার আবাসিক হোটেল কিংস এর একটি রুম থেকে পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মজিবরসহ পাঁচজনকে জুয়া খেলা অবস্থায় জুয়ার সরঞ্জামসহ মহিপুর থানা পুলিশ আটক করে। এ সময় পুলিশের উপর হামলায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হলে পুলিশ বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।