নাঙ্গলকোট প্রতিনিধি:
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে হায়াতুন নবী হতু (২৭) নামে প্রতিবেশী এক যুবকের ধর্ষণে ১৩ বছর বয়সী স্কুল পড়ুয়া এক শিশু এখন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযুক্ত হায়াতুন নবী হতু উপজেলার হেসাখাল পূর্ব পাড়া ভেন্ডার বাড়ীর এনায়েত উল্লাহর ছেলে। সে পেশায় একজন ওয়ার্কশপ মিস্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হায়াতুন নবী হতু গত ৭ মাস পূর্বে একই গ্রামের ১৩ বছর বয়সী এক শিশুকে ফসলী জমিতে একা পেয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে এবং এ ঘটনা কাউকে জানালে তাকে হত্যার হুমকি দেয়। তাই ধর্ষিতা প্রাণ ভয়ে বিষয়টি কাউকে জানায়নি।
গত ১৫দিন পূর্বে ধর্ষিতার মা মেয়ের শারীরিক পরিবর্তন দেখে জানতে চাইলে সে ধর্ষিত হওয়ার বিষয়টি প্রকাশ করে। ধর্ষিতার পরিবার তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে শিশুটি ৭মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানা যায়।
এদিকে এঘটনা জানাজানি হলে সামাজিক ভাবে ধর্ষক হতুকে জিজ্ঞাসা করলে সে ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করে।
ধর্ষিতা শিশুর মা বলেন, আমার মেয়েকে ফসলী জমিতে একা পেয়ে ধর্ষণ করে হত্যার হুমকি দেয় হায়াতুন নবী হতু। এখন আমার মেয়ে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
অভিযুক্ত হতুর চাচা শহীদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা এলাকার জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় সমাজপতিদের নিয়ে বসে বিষটি সমাধান করার চেষ্টা করছি।
এ ব্যাপারে হেসাখাল ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল বাহার মজুমদার মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি জেনেছি। আমি একটি মিটিংয়ে আছি, আপনার সাথে পরে কথা বলবো।
নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফারুক হোসেন বলেন, এ বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।