বশির আহমেদ, কুমিল্লা:
প্রয়োজনীয় কাঁচামালের অভাবে কুমিল্লার খাবার স্যালাইন উৎপাদন ও সরবরাহ প্রতিষ্ঠানটি সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার থেকে কাঁচামালের জোগান না হওয়া পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর (জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট) খাবার স্যালাইন উৎপাদন ও সরবরাহ প্রতিষ্ঠানটি চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের আঞ্চলিক কার্যালয়। এখানে উৎপাদিত স্যালাইন চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের সরকারি হাসপাতালগুলোতে সরবরাহ করা হয়। মাঝে মাঝে জেলা সিভিল সার্জনের সাথে সমন্বয় করে কিছু এনজিও প্রতিষ্ঠানও এ প্রতিষ্ঠানে উৎপাদিত খাবার স্যালাইন বিতরণ করে থাকে। মাসে আড়াই লাখ খাবার স্যালাইন উৎপাদিত হয় এ প্রতিষ্ঠানে।প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের জুন মাসে দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে এক বছরের জন্য কাচামাল সংগ্রহ করে প্রতিষ্ঠানটি। কাঁচামাল সংগ্রহ করা হয় চীন থেকে। ২০২০ সালে করোনার প্রভাব শুরু হওয়ায় চীন থেকে কাঁচামাল সরবরাহ করা কঠিন হয়ে পড়ে। এতে ওই বছর আর টেন্ডার আহ্বান করেনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। পূর্বের বাড়তি কাঁচামাল ও কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ করে এ বছরের এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত টেনে নেওয়া হয়। পর্যাপ্ত কাঁচামালের সংকটে বাধ্য হয়ে সোমবার (১৯ এপ্রিল) থেকে সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।এদিকে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে নয়জন শ্রমিক। প্রতিষ্ঠানটির সাথে যুক্ত ছিলেন ২৬জন। দক্ষ কর্মী, উৎপাদন কর্মী ও দৈনিক শ্রমিক- এ তিন ক্যাটাগরিতে এসব শ্রমিক কাজ করতেন প্রতিষ্ঠানটিতে। যার মধ্যে দৈনিক শ্রমিক ৯ জন, যারা সরকারি রাজস্বভুক্ত নন।
এ বিষয়ে কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. মীর মোবারক হোসেন জানান, ‘আমাদের ৩ মাসের স্যালাইন মজুদ আছে। স্যালাইন শেষ হওয়ার আগেই আমরা সমস্যাটির সমাধান করব।’