কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং বাজারের দক্ষিণ পাশে বিশালাকৃতির সরকারী বনভুমি ও খাস জায়গা দখল করে দোকানগৃহ নির্মাণ করছিল এক দখলদস্যু।এটি উখিয়া উপজেলা প্রশাসনের নজরে গেলে শুরুতেই উপজেলা সহকারী কর্মকর্তা(ভুমি)নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ তাজ উদ্দিন সরেজমিনে পরিদর্শন করে দোকানগৃহ নির্মাণ কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন।কিন্তু দখলদস্যু কুতুপালংয়ের মোঃ হোছনের ছেলে শাহজাহান সিন্ডিকেট শতশত রোহিঙ্গা শ্রমিক দিয়ে রাতারাতি দোকানগৃহ নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল।
অবশেষে ১৭ জানুয়ারী বিকেলে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন আহমেদ’র নির্দেশে উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলমের নেতৃত্বে বনকর্মীদের একটি দল সরকারী মালিকানাধীন উক্ত বনভুমি ও খাস জায়গায় নির্মানাধীন ১৭টি দোকানগৃহ উচ্ছেদ করে।
উক্ত জায়গায় উখিয়ার অন্যতম বৃহৎ বাজার হিসেবে কুতুপালং কাচা বাজার বসানো বা সম্প্রসারণের দাবী উঠেছে সচেতন মহল ও ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে।
উখিয়ার কুতুপালং বাজারের ব্যবসায়ী মোঃআলী বলেন,ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা না হলে বা সরকারী জায়গা হয়ে থাকলে উক্ত জায়গায় ভোক্তাদের চাহিদা বিবেচনায় কাচা বাজার বসানো যেতে পারে।তাতে সরকার রাজস্ব পাবে আর স্থানীয় ভোক্তাদের চাহিদা মেঠাতে সক্ষম হবে।
এনজিওকর্মী বোরহান উদ্দিন বলেন,সরকারী জায়গা হলে সরকারী ভাবে কাজে লাগাতে পারে।তাতে কাচা বাজার সম্প্রসারণ সম্ভব।
কুতুপালং বাজারের ফার্মাসিস্ট মোঃ ইকবাল হোসেন বলেন,কুতুপালং ও অন্য এলাকার বাজারমুখী ভোক্তাদের চাহিদা বিবেচনায় সরকারী জায়গা হলে একটি কাচা বাজার করা যায়,তাতে সরকার রাজস্ব পাবে।
রাজাপালং ইউপির ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার হেলাল উদ্দিন বলেন,কুতুপালং বাজারের আয়তন হিসেবে ভোক্তার সংখ্যা বেশী।সরকারী উক্ত জায়গায় কাচা বাজার বসালে সরকার যেমনি রাজস্ব পাবে,তেমনি রাস্তার উপর যানজট,এটি চাপমুক্ত হবে।বাজারের পরিধি বৃদ্ধির ফলে পরিবেশে ভিন্নতা ফিরবে।প্রতিবেশগত কারণে শোভাবর্ধন পাবে।
অনুরুপ কুতুপালং বাজার বণিক সমিতির অনেকেরই একই বক্তব্য,দখল উচ্ছেদ হওয়া সরকারী জায়গায় নতুন কাচা বাজার সম্প্রসারণে ভোক্তাদের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের জন্যও মঙ্গল হবে।সরকার রাজস্ব পাবে,রাস্তার উপর যানজট,ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের চাপ হ্রাস পাবে।