কাকরাইল মারকাজ মসজিদের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণসহ ৭ দফা দাবি জানিয়েছেন মাওলানা সাদের অনুসারীরা। বুধবার (১৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে মাওলানা ‘জোবায়েরপন্থীদের মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্রে’র প্রতিবাদে ‘দাওয়াত ও তাবলিগের ওলামায়ে কেরাম এবং সাথীগণ’-এর ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে কাকরাইল মারকাজ মসজিদের ইমাম মুফতি মুহাম্মাদ আযীমুদ্দীন বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১৫ নভেম্বর সকাল থেকে কাকরাইল মারকাজে তাবলিগের মূলধারার সাথীদের আমাল শুরু হবে। কিন্তু তাবলিগের মূলধারা থেকে বিচ্ছিন্ন ‘জোবায়েরপন্থীরা’ গত ৫ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ঘোষণা থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে সরকারের নিয়ম ভেঙে কাকরাইল মারকাজ মূলধারার সাথীদের কাছে হস্তান্তর না করে নিজেদের দখলে রাখার মাধ্যমে দেশে একটি অস্থিতিশীল ও অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির প্রস্তুতি নিচ্ছে।
১) দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি এবং উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সহিংসতা ও পারস্পরিক উচ্ছৃঙ্খল আচরণ পরিহার করে সবার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে;
২) কাকরাইল মারকাজ সম্পূর্ণভাবে নিজামুদ্দীনের অনুসারীদের হাতে বুঝিয়ে দিতে হবে;
৩) টঙ্গী ইজতেমার বৈষম্য দূর করে এই ইজতেমায় নিজামুদ্দীনের অনুসারীদের প্রথম পর্বে ইজতেমা করতে দিতে হবে;
৪) বিশ্ব ইজতিমার ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে তাবলিগের বিশ্ব আমির হজরত মাওলানা সাদ সাহেবের ইজতিমায় উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে;
৫) দেশের সব মসজিদে তাবলিগের শান্তিপূর্ণ কার্যক্রম পরিচালনা উভয় পক্ষের জন্য নিশ্চিত করতে হবে;
৬) উভয় পক্ষের জন্য স্থায়ীভাবে মারকাজ পরিচালনার বন্দোবস্ত করতে হবে;
৭) তাবলিগের ইস্যু নিয়ে বিভিন্ন সহিংসতাপূর্ণ প্রগ্রামে মাদরাসার ছাত্রদের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে।