জেলা প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় বিয়ে বাড়িতে বর ও বরযাত্রীকে দই টক হওয়ার কারনে পরিবেশন করতে দেরি করায় কনের বাবাকে মারধর করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহটি হস্তান্তর করেন কসবা থানা পুলিশ।
এর আগে বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে গনকমুড়া এলাকার আলগী বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ইকবাল হোসেন (৫০) উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের গনকমুড়া গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে।
নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, গত মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে ইকবাল হোসেনের মেয়ে কারিমার সঙ্গে পাশের গ্রাম বিষ্ণাউড়ির দুলাল মিয়ার ছেলে পারভেজ মিয়ার বিয়ের হয়। বরযাত্রী আসতে দেরি হওয়ায় কনের বাবা তাদের খাবার আলাদা করে রাখলেও দই ঠিকই টক হয়ে যায়। বরযাত্রী আসার পর তাদের দই পরিবেশন করতে দেরি হয়, এনিয়ে খাবারের টেবিলে বসা দুইজন বরযাত্রী দই টক ও পরিবেশন করতে দেরি হয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন। এনিয়ে দুপক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। পরে বিয়ে বাড়িতে থাকা মুরুব্বিদের মধ্যস্থতায় ওইদিনেই বিষয়টি মীমাংসা করা হয়।
তারা আরও বলেন, বিয়ের পরদিন বুধবার রাতে আলগী বাজারে ইকবাল হোসেন চা খেতে যান। সেখানে পাশের গ্রামের বরপক্ষের ৫-৭ জন যুবকের সঙ্গে দই টক হওয়ার বিষয় নিয়ে ইকবাল হোসেনের পুনরায় তর্কাতর্কি হয়। এক পর্যায়ে বর পক্ষের লোকজন ইকবাল হোসেনকে মারধর করেন। রাতে ইকবাল হোসেন অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের লোকেরা তাকে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। সেখানে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এব্যাপারে কসবা থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হাবিবুর রহমান জানান, ইকবাল হোসেন নামের এক ব্যক্তি নিহতের সংবাদ পেয়ে রাতেই হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। মৃত্যুর রহস্য উন্মোচনের আজকে সকালে মরদেহটি উদ্ধার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে নিহতের শরীরে তেমন কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।