কলাপাড়া প্রতিনিধি: কের্ডীয় জমির সীমানার অর্ধশতাধিক কলা গাছ উপড়ে এবং বিভিন্ন প্রজাতির লক্ষাধিক টাকা মূল্যের গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের চান্দুপাড়া গ্রামের কৃষক গাজী সাইদুর রহমানের জমির সীমানায় রোপন করা গাছ গুলো প্রতিপক্ষ মো. নজরুল ইসলাম খান খোকনের নির্দেশে একদল দূবৃত্তরা গাছ নিধন কার্যক্রমের অংশ গ্রহন করে। ভুক্ত ভোগি গাজী সাইদুর রহমান তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, গত শুক্রবার তিনি চান্দুপাড়া মৌজর বি,এস ২৮ নং জে,এল এর নিজ রেকর্ডীয় দেড় একর জমিতে কলাগাছ রোপন করে। গাছ রোপন করার পর পরই দূর্বত্তরা কলাগাছ এবং চাম্বল, মেহেগনীসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে ও উপড়ে ফেলে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম খান খোকনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিরোধীয় জমি আমাদের মায়ের ওয়ারিশ প্রাপ্ত জমি। ওই জমি আমরা বন্টন করে ভোগ করছি। ওই জমি গাজী সাইদ এবং আমাদের নামে রেকর্ড করা হয়। আমার ঘেরের পাড়ে গাছ রোপ করা হলে আমি তা উপড়ে ফেলেছি। তবে খাস জমিতে ঘের নির্মান করার বৈধ কোন কাগজ না থাকার বিষয়ে যৌক্তিক কোন উত্তর দিতে পারেনি সে। এদিকে গাজী সাইদের দাবি গাছ লাগানো জমি তার নিজের নামে রেকর্ড করা, সেই জমিতে আমি গাছ রোপন করেছি। স্থানীয় একটি ভ‚মি দস্যু চক্রের সঙ্গে আঁতাত করে আমাকে আমার রেকর্ডীয় জমি থেকে বঞ্চিত করা এবং আমাকে খুন যখমের দ্দেশ্যে সড়যন্ত্র করছে।এব্যাপারে লালুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত হোসেন তপন বিশ্বাস বলেন, এবিষয়ে ছয় মাস আগে স্থানীয় পর্যায়ের সালিস বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে গাজী সাইদ ও নজরুল ইসলাম খান খোকনসহ অন্যান্য ওয়ারিশদের জমি বন্টন করা হয়। তবে সেই জমিতে উদ্দেশ্য মূলক ভাবে বিবাদ সৃস্টি করার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে প্রশাসন এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সহায়তা করবো। আমি চাই আমার ইউনিয়নে কোন সহিংস ঘটনা না ঘটে।