কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা মৎস্যকর্মকর্তা অপু সাহার বিরুদ্ধে মৎস্য বন্দর আলিপুরে প্রতিবাদ সমাবেশকরেছে ট্রলার মালিক ও মাঝি সমিতি।বুধবার (৯ জুন) দুপুর ১২টার দিক শতাধিক ট্রলার মালিক এবং মাঝিদেরউপস্থিতিতে আলিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে এই প্রতিবাদ সমাবেশঅনুষ্ঠিত হয়।এ সমাবেশে ট্রলার মালিক সাখাওয়াত হোসেন বলেন আজকের ট্রলার মালিক ওমাঝিদের নিয়ে মৎস্য বিষয়ক প্রশিক্ষন দেওয়ার জন্য অবতরণ কেন্দ্রে আসেনউপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা। এ সময় জেলেদের প্রশিক্ষণ বিষয়ক তালিকা সঠিকভাবে নির্নয় করার জন্য তাকে বলা হলে অকারণেই তিনি উত্তেজিত হয়েসমস্ত মাঝিদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল দিয়ে প্রশিক্ষণ না দিয়ে অন্যত্র চলেযায় ।ইউসুফ মাঝি বলেন কুয়াকাটা ,গঙ্গামতির জেলেদের কাছ থেকে মাছ ধরারনিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে ট্রলার প্রতি ১০ হাজার টাকা করে গ্রহন করেজেলেদের মাছ ধরার অনুমতি দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এই মৎস্যকর্মকর্তা।ফলশ্রুতিতে নিষেধাজ্ঞা থাকাকালীন সময়ে আলিপুর – কুয়াকাটা মৎস্য বন্দরে দেখা গেছে অবাধে চলছে মাছ ক্রয় বিক্রয়কার্যক্রম।লতাচাপলী ইউপি চেয়ারম্যান ও আলীপুর-কুয়াকাটা মৎস্য সমবায় সমিতিরসভাপতি আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, কলাপাড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাঅপু সাহার সাথে যে ঘটনা ঘটেছে এটা দুঃখ জনক। জেলে ও ট্রলারমালিকদের আভ্যরীন কোন্দলে প্রশিক্ষনটি পন্ড হয়ে যায়। এ প্রশিক্ষনটি তাদেরএকান্ত প্রয়োজন ছিলো।এ ব্যাপারে কলাপাডা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা তার বিরুদ্ধেআনিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, জেলেদের ভীতর অভ্যন্তরীণ এবংরাজনৈতিক কোন্দল থাকার কারনে তারা প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন নি।জেলেদের কোন্দল নিরসনের জন্য তিনি চেষ্টা করেছেন বলে দাবি করেন তবেতারা তা মানেন নি ফলে জেলেরা অন্যত্র চলে গেছে।