মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার কালেঙ্গা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালিক এর সরকার থেকে বন্দোবস্ত প্রাপ্ত ভূমি প্রতিপক্ষের লোকজন আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে জবরদখল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে শুক্রবার মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালিক জানান, অসচ্ছল, সহায় সম্বলহীন এবং ভূমিহীন মুক্তিযোদ্বা হওয়ায় সরকার হইতে বিগত ২০০১ ইং সন হতে ২০৯৮ ইং পর্যন্ত ৬৪ শতক ভূমি (কমলগঞ্জ, মৌজা: দেওরাছড়া, টি.ই. জে.এল নংÑ০২, খতিয়ান নংÑ১, আর.এস খতিয়ান নং-৫৩৭, দাগ নং-৫০২, ০.৬৪ একর ভূমি) স্থায়ী বন্দোবস্ত পান। কিন্তু কালেঙ্গা গ্রামের আতাউর রহমান চৌধুরী, শামিম মিয়া, দিঘলগজী গ্রামের আলিক মিয়া উক্তভূমি জবর দখল করার চেষ্টা করলে তিনি তাদের বিরুদ্ধে সহকারী জজ কমলগঞ্জ আদালতে (স্বত্ব ৮০/১০ ইং) মামলা দায়ের করেন।আদালত মামলার রায়ও প্রদান করেন।
পরবর্তীতে পুনরায় সহকারী জজ আদালতে (স্বত্ব জারি ০৩/১৪ ইং) মামলা দায়ের করার পর উক্ত মামলায় বিগত ২৬মে ’১৬ তারিখে আদালতের আদেশ মোতাবেক সার্ভেয়ার এড. জহিরুল ইসলাম, জারিকারক ফয়ছল আহমদ তফসীল বর্ণিত ভূমিতে গিয়ে ঢুল পিটাইয়া স্থানীয় লোকদের সম্মুখে জারিকারক ফয়ছল আহমদ আদালত কর্তৃক ঝান্ডা পুতিয়া দিয়া যান। আদালত কর্তৃক নিযুক্ত সার্ভেয়ার ম্যাপ অনুযায়ী সীমানার খুটি এবং নামের একটি সাইনবোর্ড লাগিয়ে যান। সার্ভেয়ার ও জারিকারক তফশীল বর্ণিত সম্পত্তিতে ঝান্ডা পুতিয়া যাবার পর হইতে আতাউর রহমান চৌধুরী, আলিক মিয়া, শামিম মিয়া, হারিস মিয়া, ফয়জুল মিয়া, সুজুল মিয়া ঝান্ডা উঠিয়ে ফেলে দেন।
এ সময় তিনি স্থানীয় লোকজনদের সাথে নিয়ে তাদেরকে বাঁধা প্রদান করলে তাকে হত্যার উদ্যেশ্যে মারধর করতে আসেন। এ ঘটনায় বিগত ৬অক্টোবর’২০ তারিখে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। বিবাদীদের হুমকি ধমকিতে তিনি শংকিত এবং পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে বলে দাবি করেন। ভুক্তভোগী পরিবারের মধ্যে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- মুক্তিযোদ্ধার পুত্র মোঃ আইনুল হোসেন, আবুল হোসেন, পুত্রবধু জেসমিন আক্তার, সুফিয়া বেগম ও মইনুদ্দিন জিতু।