আকরামুজ্জামান আরিফকুষ্টিয়া প্রতিনিধি :
কুষ্টিয়ায় ‘কঠোর লকডাউনের’ আজ শুক্রবার দ্বিতীয় দিন জেলায় চলছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কড়াকড়ি। প্রথম দিনেও একই চিত্র দেখা গেছে। শহরে প্রবেশ পথগুলোতে বসানো হয়েছে পুলিশের চেকপোস্ট। একই চিত্র উপজেলার প্রবেশ পথগুলোতেও। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর থেকে লকডাউন সর্বাত্মকভাবে পালনে বাধ্য করতে পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে প্রধান সড়ক ও মোড়ে মোড়ে টহল দিচ্ছেন পুলিশ,বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। রাস্তায় পুলিশের টহল গাড়ি,পণ্যবাহী ট্রাক,রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরী প্রয়োজনে ব্যবহৃত সীমিত সংখ্যক যানবাহন ছাড়া তেমন যানবাহন চোখে পড়েনি এ জেলায়।মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশের চেকপোস্ট দিয়ে সড়কের প্রবেশ পথ আটকে দিয়েছে পুলিশ।সরেজমিনে দেখা গেছে,লোকজনকে লকডাউন মানাতে যথেষ্ট তৎপর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা। জরুরী কাজে কেউ বের হলেও পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। তবে বৃষ্টির কারণে মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন নাতাই প্রথম দিন ও আজ দ্বিতীয় দিনে সড়কে মানুষের চলাফেরা কম এমনটিই লক্ষ করা গেছে। তবে কড়াকড়ির মধ্যেও রাস্তায় মানুষের সীমিত চলাচল ছিল।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খাইরুল আলম বলেন,করোনার সংক্রমণের হার কমানোর জন্য মন্ত্রিপরিষদের পক্ষ থেকে যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে সেজন্য আমরা মাঠে কাজ করছি। জেলার ছয়টি থানায় এলাকায় প্রবেশ পথগুলোতে পুলিশের চেকপোস্ট বসানো রয়েছে।
তিনি আরও বলেন,আমরা সবার প্রতি অনুরোধ করছি তারা যেন অপ্রয়োজনে বের না হয়।সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্যই আমরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছি।
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন,জেলার ছয়টি উপজেলায় ১প্লাটুন করে ৬প্লাটুন সেনাবাহিনীর সদস্যরা নেমেছে। এর সঙ্গে বিজিবির সদস্যরাও টহলে থাকবেন। ছয়টি উপজেলার ইউএনও,এসিল্যান্ড সঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেটরাও দায়িত্ব পালন করছেন।এছাড়াও এলাকায় আমাদের পর্যাপ্ত সংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করছেন।