কক্সবাজার প্রতিনিধি:
পর্যটন নগরী কক্সবাজারের কলাতলী ডলফিন মোড় নামক স্থানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপন করার মধ্য দিয়ে কক্সবাজারবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হতে চলেছে। তৎকালীন ১৯৫৮ সাল থেকে সর্বশেষ ১৯৭৫ সালের ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত এই সময়কালে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে অন্তত ১৩/১৪ বার এসেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পর্যটন নগরী কক্সবাজারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত অনেক স্হান রয়েছে। স্বাধীনতার অর্ধ শতাব্দীকাল অতিবাহিত হলেও বঙ্গবন্ধুর নামে সাগর পাড়ের এই শহরে এখনো পর্যন্ত স্থাপিত হয়নি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর একটি স্মৃতিস্তম্ভ। কক্সবাজারের মানুষ দীর্ঘদিন যাবত সাগর পাড়ের কলাতলী গোলচত্বরে বঙ্গবন্ধুর একটি ভাস্কর্য স্থাপনের। সাগর পাড়ের এই শহরটির প্রবেশদ্বারে যদি জাতির জনকের একটি ভাস্কর্য নির্মিত হয় তাহলে বাঙালির অবিসংবাদিত এই নেতার প্রতি কক্সবাজারবাসীর জন্য কিছুটা হলেও ঋণ শোধ হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এতদিন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণে কেউই এগিয়ে আসেননি। উল্টো কলাতলীর গোলচত্বরে হাঙ্গরের ভাস্কর্য বসানো হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৫ সালে সাবেক জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেনের সভাপতিত্বে সৈকতের কবিতা চত্বরে অনুষ্ঠিত ১৭ মার্চ জাতির জনকের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় বঙ্গবন্ধুর একটি ভাস্কর্য স্থাপনসহ কলাতলী গোলচত্বরের নাম বঙ্গবন্ধু চত্বর রাখারও সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু এ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি। শেষ পর্যন্ত গত শনিবার(১২ নভেম্বর) কলাতলী গোলচত্বর এলাকাটি পরিদর্শন করেছেন সরকারের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদ, কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান, অপারেজয় বাংলার সদস্য সচিব এইচ, রহমান মিলু ও কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শাহে আরেফীন । জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদ জানান, সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী গোলচত্বরে ভাস্কর্য নির্মাণের স্থানটি সরেজমিনে পরিদর্শন করে গেছেন। যদিওবা স্থানটি প্রয়োজনের তুলনায় আকারে ছোট তবুও স্থানটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও জানান, ভাস্কর্য স্থাপনের জন্য যে কোনো ভাবে স্থানটির পরিধি আরেকটু বাড়ানো যায় কিনা সচিব মহোদয় তাও দেখতে বলে গেছেন।কক্সবাজার সড়ক ও বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শাহে আরেফীন জানান, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব কলাতলী গোলচত্বরে বঙ্গবন্ধুর একটি ভাস্কর্য স্থাপনের প্রাথমিক প্রস্তুতি হিসাবে নকশাও অংকনের নির্দেশনা দিয়েছেন। ইতিমধ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপনের জন্য কক্সবাজার পৌরসভা ও অপারেজয় বাংলা নামক সংগঠনটি যৌথভাবে অর্থায়নের প্রস্তাব দিয়েছেন। সেই সঙ্গে সার্বিক সহযোগিতায় থাকবে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন এবং কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগ।