আদর্শ, মূল্যবোধ ও কর্মের মাধ্যমে প্রখ্যাত পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়া আমাদের মাঝে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেন, ১৯৪২ সালের পীরগঞ্জ আর এখনকার পীরগঞ্জ এক নয়। অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে, অনেক উন্নয়ন হয়ে গেছে। কিন্তু তারপরও এই মাটিরই সন্তান ড. ওয়াজেদ মিয়ার পরিচয়ে সারা বিশ্বে পরিচিত।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ৮১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা ও তাঁর কর্মজীবন অবলম্বনে রচিত বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
‘অনেক চড়াই-উৎরাই পার হয়ে’ ড. ওয়াজেদ মিয়া নিজেকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরেছিলেন উল্লেখ করে শিরীন শারমিন বলেন, ওয়াজেদ মিয়া ব্যক্তি জীবনে কতটা নির্লোভ ও নিরহংকারী ছিলেন তা নতুন করে বলার কিছু নেই। ক্ষমতার খুব কাছাকাছি থেকেও তিনি ছিলেন সাদামাটা এক মানুষ। গ্রস্থটি পীরগঞ্জের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের পড়ানোর উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান স্পিকার।
টিভি টুডের প্রধান সম্পাদক মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, সব দিক থেকে ভীষণ রকম গুণী ছিলেন ড. ওয়াজেদ মিয়া। বঙ্গবন্ধুর জামাতা বা বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর স্বামী এসব বিষয় কখনো তার পরিচয়ের ওপর প্রভাব ফেলেনি। বরং বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন।
প্রস্ততি কমিটির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ডা. অশোক কুমার পাল, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আ ন ম আল ফিরোজ, প্রধানমন্ত্রী বিশেষ সহকারী ড. শহীদ হোসাইন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, পরমাণু শক্তি কমিশনের আন্তর্জাতিকবিষয়ক পরিচালক ড. এ কে এম ফজলে কিবরিয়া, পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ এফ এম মিজানুর রহমান, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. শাহীনুল ইসলাম, ওয়াজেদ মিয়া মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের সভাপতি এ কে এম ফরহাদুল কবির, প্রকাশিত গ্রন্থের লেখক ড. আসাদুজ্জামান ও গ্রন্থটির প্রকাশক আগামী প্রকাশনীর ওসমান গণি প্রমুখ।
সূত্র: কালের কন্ঠ অনলাইন