বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রয়াত সভাপতি ডা. এস এ মালেকের ১৫ বছরের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের সময়ে আলোকচিত্রশিল্পী ফোজিত শেখ বাবুর তোলা ছবি নিয়ে দুই দিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনী শুরু হয়েছে।
আজ রবিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। প্রদর্শনী আজ রবি ও আগামীকাল সোমবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
আব্দুল মোমেন বলেন, ‘ডা. মালেক ছিলেন প্রচারবিমুখ; কিন্তু ছিলেন চিন্তাবিদ ও গবেষক। উনি ছিলেন সত্যবাদী ও স্পষ্টবাদী মানুষ। সাম্প্রতিক সময়ে অনেক ধরনের উল্টাপাল্টা হচ্ছে, মালেক সাহেব থাকলে উনার সঙ্গে সেটা আলাপ করে সৎসাহসের জন্য সেটা বলতে পারতেন। উনার মৃত্যু আমাদের জন্য বড় ধরনের ক্ষতি।’
তিনি আরো বলেন, “সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধু যে ধরনের সোনার মানুষ প্রত্যাশা করতেন তিনি সে রকমই ছিলেন। চাঁদাবাজি, মাতব্বরি, নেতৃত্ব নয় বরং সোনার মানুষ সৃষ্টি করাই বঙ্গবন্ধু পরিষদের মূল লক্ষ্য ও আকর্ষণ হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। আর এ কাজগুলো করতে পারাই এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের সার্থকতা।’
ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী বলেন, ‘১৯৭৫ সাল আমাদের জন্য অত্যন্ত দুঃসময় ছিল। সেই সময়ের মধ্যেও ডা. এস এম মালেক, কে এম সোবহান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আব্দুল মতিন চৌধুরী, যাদের অপবাদ দিয়ে জেলে নেওয়া হয়েছিল, সেই মানুষগুলো সেদিন বঙ্গবন্ধু পরিষদের ব্যানারে যেভাবে দাঁড়িয়েছিল, সেটা ভাবতেই আমি শিহরিত হই।’
তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমানে আমার অনেক ছাত্র-ছাত্রী বা সহকর্মীদের দেখি, ছোট কিছু করে বা দুই-চারটা স্লোগান দিয়ে বলে তাদের মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। তারা এটার অভিযোগ নিয়ে আসে এবং মাঝেমধ্যে তাদের এমন দৌরাত্ম্য দেখা যায়, সারা দেশে আমাদের এত অর্জন থাকার পরেও তাদের কাজের জন্য আমাদের মাথা নুইয়ে রাখতে হয়।’
বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান লাল্টুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের কুষ্টিয়া-১ আসনের সাংসদ আ কা ম সরওয়ার জাহান বাদশাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার, মানিকগঞ্জ জিলা জজকোর্ট ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মনোরঞ্জন ঘোষাল, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুল ওয়াদুদ প্রমুখ।