অনলাইন ডেস্ক:
পাটুরিয়ায় কমলেও বিজিবির চেকপোস্ট উপেক্ষা করেই মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে ঘরমুখী মানুষের ঢল নেমেছে।
আজ রবিবার (৯ মে) সকাল থেকেই দক্ষিণবঙ্গগামী হাজার হাজার মানুষের ভিড় দেখা গেছে শিমুলিয়া ঘাট এলাকায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই ভিড় আরো বাড়ছে।
রাতভর ১৫টি ফেরি দিয়ে পারাপার করলেও আজ রবিবার ভোরে ফেরি বন্ধ করে দিয়েছে বিআইডাব্লিউটিসি। তবে আটটি অ্যাম্বুলেন্সসহ সকাল পৌনে ৮টার দিকে ‘ফেরি ফরিদপুর’ ১ নম্বর ঘাট থেকে ছেড়ে যায়। এসময় ফেরিটিতে ওঠার জন্য যাত্রীরা হুমড়ি খেয়ে পড়ে। মুহূর্তেই ভরে যায় ফেরিটি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মৃদু লাঠিচার্জও করে পুলিশ। কিন্তু গাদাগাদি করে ছোট্ট ফেরিটিতে দেড় সহস্রাধিক মানুষ পদ্মা পাড়ি দেয়। ঘাট এলাকায় এখনো হাজার হাজার যাত্রী পারের অপেক্ষায়।
এদিকে, বাংলাবাজার ঘাট থেকে ফেরি কুঞ্জলতাও ৮টি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে শিমুলিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছে বলে বিআইডাব্লিউটিসি সূত্রে জানা গেছে।
বিআইডাব্লিউটিসির সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. সফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, দিনের বেলায় ফেরি বন্ধ। শুধু জরুরি পরিষেবার কিছু যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। সেই ফেরিতেই লোকজন স্রোতের মতো উঠে যাচ্ছে। করোনা সংক্রমণ ঝুঁকির মধ্যেও লোকজন নাড়ির টানে ছুটছেন, কোনো বাধাই মানছেন না। বহরের ১৬ ফেরির মধ্যে জরুরি পরিষেবায় ২-৩টি ফেরি চলাচল করছে।
এদিকে, ফেরিঘাটের আশপাশে থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই জেলে নৌকাসহ ট্রলারে যাত্রীরা পদ্মা পার হওয়ার চেষ্টা করে। নৌপুলিশ এ পর্যন্ত ৮টি ট্রলার আটক করেছে।
মুন্সীগঞ্জের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ঘাটে দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। বিপুলপরিমাণ পুলিশও কাজ করছে। তারপরও লোকজনের ঢল নামছে। করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি থেকে জনসাধারণকে রক্ষায় ঈদে ঘরমুখী না হওয়ার জন্যই পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।