অনলাইন ডেস্ক:
বেশ কিছু এনজিও ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের মানবিক সেবা দিচ্ছে। জাতিসংঘের কারিগরি দলও গত সপ্তাহে তাদের প্রাথমিক প্রতিবেদনে ভাসানচর নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব জানিয়েছে। সন্তোষজনক প্রতিক্রিয়া ছিল সম্প্রতি ভাসানচর ঘুরে আসা পশ্চিমা রাষ্ট্রদূতদেরও। এসব সত্ত্বেও এবার ভাসানচর নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণায় নেমেছে কাতারভিত্তিক টেলিভিশন আলজাজিরা। গতকাল সোমবার আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ত্রাণ সংস্থাগুলো ওই দ্বীপের ঝুঁকির ব্যাপারে সতর্ক করেছে।
কূটনৈতিক ও নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন বা কক্সবাজারের ওপর থেকে চাপ কমাতে তাদের একাংশকে সাময়িকভাবে অন্যত্র স্থানান্তরের বিরোধীদের নানা ধরনের স্বার্থ আছে। আন্তর্জাতিক অনেক এনজিওর সদস্যরা কক্সবাজারে কাজ করার ক্ষেত্রে ঝুঁকি ভাতা পায়। ভাসানচরে স্থানান্তরিত রোহিঙ্গাদের সেবা দিতে গিয়ে তারা সেই ভাতা-সুবিধা পাবে কি না তা নিয়ে তাদের ভাবনা আছে। তা ছাড়া ভূরাজনৈতিক কারণে স্বার্থান্বেষী অনেক মহল কক্সবাজার থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বা অন্যত্র স্থানান্তরে সক্রিয় সহযোগিতা করছে না। রোহিঙ্গাদের মঙ্গলের জন্য বাংলাদেশ সরকারের বিপুল অর্থ খরচ করে ভাসানচরকে বাসযোগ্য করার উদ্যোগ নিয়ে সমালোচনা বা বিরোধিতাকে তারা এসবের আলোকেই দেখছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘ভাসানচর সরেজমিনে ঘুরে আসা জাতিসংঘের প্রতিনিধিদল সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারকে প্রাথমিক একটি প্রতিবেদন দিয়েছে। ওই প্রতিবেদন বেশ ইতিবাচক।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভাসানচর আশপাশের দ্বীপগুলোর চেয়েও নিরাপদ। ব্রিটিশ একটি প্রতিষ্ঠানের পরামর্শ অনুযায়ী ওই দ্বীপের বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। সেটিকে আরো উন্নত ও উঁচু করার কাজ চলছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারে, নোয়াখালীর ভাসানচরে, বরিশালে না অন্য কোথাও রাখলাম সেটি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর দেখার বিষয় নয়। তাদের সঙ্গে আমাদের যে সমঝোতা, সেখানে বলা আছে বাংলাদেশে আশ্রিতদের সহায়তা দেবে। সেখানে কক্সবাজারের কথা লেখা নেই।’
ড. মোমেন বলেন, ‘মানবিক সহায়তা সংস্থাগুলো ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের সেবা না দিলে আমরা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অনুপাতে ভাসানচরের রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিলের ভাগ চাইব। কারণ তারা রোহিঙ্গাদের দেখিয়েই এই তহবিল সংগ্রহ করে।