অনলাইন ডেস্ক:
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার আবেদনের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় ‘না’ করার পরও এখনো তাঁর বিদেশে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতি কিংবা প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাইলেই অনুমতি দেওয়ার আইনি সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
সোমবার (১০ মে) দিবাগত রাতে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ স্বীকার করে প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি বরাবর ক্ষমা প্রার্থনা করলে তিনি মুক্তি পেতে পারেন। সরকার যদি কোনো পদক্ষেপ নেয় তবে তা আইনের মাধ্যমে নিতে হয়। আইনে বলা আছে, প্রধানমন্ত্রী চাইলে যে কোনো দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে শর্তসাপেক্ষে অথবা নিঃশর্তভাবে ৪০১ ধারা বলে মুক্তি দিতে পারেন। ৪০২ ধারার মাধ্যমে রাষ্ট্রপতিও এই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন। এছাড়া রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৪৯ নম্বর আর্টিকেলের মাধ্যমে নিজ ক্ষমতাবলে যে কোনো দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করতে পারেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া যদি তার বিরুদ্ধে আনিত সমস্ত অপরাধ স্বীকার করে আবারও প্রধানমন্ত্রী অথবা রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং তারা যদি খালেদা জিয়াকে ক্ষমার বিষয়টি বিবেচনা করে তাকে মুক্তি দেন তাহলে তিনি বিদেশ অথবা যে কোনো জায়গায় যেতে পারেন।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া। উন্নততর চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে তাঁর ভাই শামীম এস্কান্দার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন গত ৫ মে। কিন্তু ৯ মে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়ে দেয় যে আইন অনুযায়ী তাঁকে বিদেশে পাঠানোর সুযোগ নেই। আইন মন্ত্রণালয়ও এ বিষয়ে নেতিবাচক মতামত দেয়। এ ঘটনায় প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয় বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা এ ঘটনায় ক্ষোভ ও হতাশা ব্যক্ত করেন।