অনলাইন ডেস্ক:
ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে নামে পরিচিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কে গতকাল শুক্রবার থেকে টোল আদায় শুরু হয়েছে। দিনের শুরুতে টোল প্লাজায় বুথের সংখ্যা কম থাকায় গাড়ির দীর্ঘ জট সৃষ্টি হয়। পরে বুথের সংখ্যা বাড়ানো হলে দুপুরের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছে, ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার বগাইল টোল প্লাজায় সকাল থেকে কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
টোল আদায়ে ধীরগতি, একাধিকবার বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকা, বুথ কম চালু হওয়ার কারণে মূলত দেরি হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানজটও দীর্ঘ হয়। মোট ১২টি বুথের মধ্যে সকালে চারটি চালু হলেও দুপুরে আটটি বুথ চালু করা হয়।
যানজটের কারণে পরিবহনের যাত্রী ও চালকদের ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়। মাদারীপুর থেকে ঢাকাগামী চন্দ্রা পরিবহনের সুপারভাইজার উত্তম মালো বলেন, ‘এই টোল প্লাজায় আটকে আছি প্রায় আধাঘণ্টা। এতক্ষণ আমাদের গাড়ি পদ্মা সেতু পার হয়ে যাওয়ার কথা। ’
টোল প্লাজার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম রনি বলেন, ‘বগাইল টোল প্লাজায় শুক্রবার রাত ১২টা ১ মিনিটে দুটি বুথের মাধ্যমে টোল আদায় শুরু হয়। অনেক যানবাহন চালক ভাংতি টাকা না থাকায় টোলে দেরি করে। অনেকে আবার ঢাকা-খুলনা-বরিশাল প্রান্ত থেকে ব্যক্তিগত গাড়িতে এসে টোল প্লাাজায় টোল দিতে গড়িমসি করে। তাদের বুঝাতে সময় লেগেছিল। এখানে মোট টোল বুথ ১২টি। সব বুথ চালু হলে আর সমস্যা থাকবে না। তিনি বলেন, ‘২৪ ঘণ্টার হিসাব করা হবে। তাই এখন আংশিক টোলের পরিমাণ জানানো সম্ভব হচ্ছে না। ’
খুলনা থেকে ঢাকাগামী ইমাদ পরিবহনের সুপারভাইজার বলেন, ‘প্রথম দিনেই টোল নিতে দেরি হওয়ায় আমাদের দীর্ঘক্ষণ এখানে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। ’
এদিকে মহাসড়কের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায়ও কয়েক কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজটে দুর্ভোগে পড়ে দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা। ঢাকামুখী যাত্রীদের টোল প্লাজায় যানজটে আটকে থাকতে হয়নি। মহাসড়কে মোট ছয়টি টোল বুথ থাকার কথা থাকলেও গতকাল ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও ফরিদপুরের ভাঙা—এ দুটি টোল বুথ থেকে টোল আদায় করা হয়েছে। মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে টোল প্লাজা চালু না হওয়ায় এখানকার যানবাহনগুলোকে ভাঙার সমান টোল দিতে হয়েছে।
গতকাল ঢাকার পোস্তগোলা, মুন্সীগঞ্জের ধলেশ্বরী ও ফরিদপুরের আড়িয়ালখাঁ সেতুর নির্ধারিত টোল আদায় বন্ধ ছিল। তবে হঠাৎ মহাসড়কের টোল আদায় করতে গিয়ে ধলেশ্বরী টোল প্লাজার সামনে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ব্যক্তিগত গাড়ি, পণ্যবাহী গাড়ি ও গণপরিবহনকে অপেক্ষা করতে হয় দীর্ঘক্ষণ।
সূত্র: কালের কন্ঠ অনলাইন