র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন বলেছেন, ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস উদযাপনকে ঘিরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও আশপাশের এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিরাপত্তার বিষয়ে এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে কোনো ধরনের হুমকি কিংবা থ্রেটের কোনো তথ্য নেই। একুশে ফেব্রুয়ারিকে ঘিরে নিরাপত্তার কোনো ঝুঁকিও নেই। তবে, আমরা যেকোনো ধরনের নাশকতা রোধে সার্বক্ষণিক ব্যবস্থা এবং যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত আছি।
আজ মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে র্যাব ডিজি এ কথা বলেন।
র্যাব ডিজি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস উপলক্ষে আজ থেকে সব ধরনের বিশৃঙ্খলা ও যেকোনো অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি রোধে ঢাকাসহ সারাদেশে পর্যাপ্ত সংখ্যক র্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। গত ১৮ ফেব্রুয়রি থেকে র্যাবের সাদা পোশাকধারি সদস্যরা গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
পাশাপাশি র্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড মোতায়েন থাকবে।’
যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় র্যাবের স্পেশাল ফোর্স প্রস্তুত রাখা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘র্যাবের হেলিকপ্টার সার্বক্ষণিকভাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকাসহ আশপাশের এলাকার রাস্তায় চেকপোস্ট স্থাপনের মাধ্যমে সন্দেহজনক ব্যক্তিদের তল্লাশি করা হবে।’
নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং ইভটিজিং প্রতিরোধে র্যাব সদস্যরা সতর্ক অবস্থায় রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ভার্চুয়াল জগতে যেকোনো ধরনের গুজব অথবা উস্কানিমূলক ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানো প্রতিরোধে র্যাব সাইবার মনিটরিং দল অনলাইনে সার্বক্ষণিক নজরদারি করছে।
র্যাব সদর দপ্তরের কন্ট্রোল রুম থেকে সারাদেশের ব্যাটালিয়নগুলোর কার্যক্রম মনিটরিং করা হবে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে র্যাব ডিজি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সাতটি সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব সদরদপ্তরসহ বিভিন্ন ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।