কীর্তিমানের মৃত্যু নেই, তেমনই মৃত্যুহীন এক কীর্তিমান মানুষ হচ্ছেন স্কয়ার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা স্যামসন এইচ চৌধুরী মন্তব্য করে স্মরণসভায় আলোচকবৃন্দ বলেন, তার আদর্শ, নীতিবোধ, ত্যাগ, মহানুভবতা এবং সেবামূলক নানামুখী কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে সর্বস্তরের মানুষ তাকে উপলব্ধি করেন, তাকে স্মরণ করে।
মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারী) নয়াপল্টনে প্রখ্যাত শিল্পপতি স্কয়ার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা স্যামসন এইচ চৌধুরী’র ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ আয়োজিত স্মরণসভায় নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।
তারা বলেন, স্যামসন এইচ চৌধুরীর সফলতার পেছনে ছিল তার দক্ষতা, দূরদর্শিতা, সততা ও নিয়মানুবর্তিতা। খুব দ্রুত সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন তিনি। নিজের কোনো প্রতিষ্ঠানে কখনো শ্রমিক অসন্তোষ হতে দেননি তিনি। স্যামসন চৌধুরী তার সহকর্মীদের ব্যাপারে ছিলেন অত্যন্ত আন্তরিক। তাদেরকে নিজের পরিবারের সদস্যই মনে করতেন। কেবল অফিসিয়াল কাজ নয়, শ্রমিকদের ব্যক্তিগত জীবনেরও খোঁজখবর নিতেন তিনি।
বক্তারা আরো বলেন, সমাজসেবার ক্ষেত্রে এক অনন্য মানুষ ছিলেন স্যামসন এইচ চৌধুরী। নীরবে-নিভৃতে মানুষকে সাহায্য-সহযোগিতা করতেন। আত্মপ্রচার একেবারেই পছন্দ করতেন না তিনি। অথচ তার কারখানার শ্রমিক থেকে শুরু করে অগণিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতে রিলিফ ক্যাম্পে খাদ্য সরবরাহ করেছেন। বিদেশি সাংবাদিকদের কাছে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরেছেন। মুক্তিযুদ্ধের পর দেশ গঠনে সিসিডিবি গঠন, আরিচা-ভোলা-পটুয়াখালী-বরিশালের মৎস্যজীবীদের জাল, নৌকা, কোল্ডস্টোর প্রদান, মহেশখালীতে সাগর মৎস্যজীবী, নরসিংদীতে তাঁতিদের পুনর্বাসন, রাজশাহীতে ১২ মিলিয়ন ডলারের কৃষি প্রকল্প, বাংলাদেশ সরকারকে দূরপাল্লার ওয়াকিটকি ও বার্জ প্রদান এবং বরিশাল ও গোপালগঞ্জে ২.৩ মিলিয়ন ডলারের ইপি প্রকল্প প্রণয়ন- এসব অবদানের জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা এম এ জলিলের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, বাংলাদেশ সোস্যাল অ্যাকষ্টিভিস্ট ফোরাম প্রধান সমন্বয়কারী মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী, ন্যাপ ভাসানী সভাপতি মোসতাক আহমেদ, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু, বাংলাদেশ জাসদ নেতা হুমায়ূন কবির, বরিশাল বিভাগ সমিতির যুগ্ম সম্পাদক আ স ম মোস্তফা কামাল, রঞ্জন রায় প্রমুখ।