দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষে স্থানীয় সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী সপ্তাহে এই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে। মার্চ মাসে শুরু হয়ে কয়েক দফায় এই নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলবে। মার্চে প্রথম দফায় শতাধিক উপজেলায় ভোটগ্রহণ করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন।
স্থানীয় সরকার (উপজেলা পরিষদ) আইন অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদের মেয়াদ পরিষদের প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর। ওই পাঁচ বছর মেয়াদপূর্তির আগের ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিধান রয়েছে। সে অনুযায়ী, এর মধ্যে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে। এর আগে ২০১৯ সালের ১০ মার্চ নির্বাচন শুরু হয়ে পাঁচ ধাপে জুনে গিয়ে শেষ হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, উপজেলা পরিষদ আইন, ১৯৯৮-এর ১৭(১)(গ) ধারা অনুসারে পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার ক্ষেত্রে ওই মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ থেকে পূর্ববর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে পঞ্চম উপজেলা পরিষদের শপথ গ্রহণ ও প্রথম সভার তারিখের তথ্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত দিয়েছে ইসি।
ইসির অনুমোদন সাপেক্ষে আগামী সপ্তাহে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে বলে জানান ইসি সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। তিনি বলেন, অন্যান্যবারের মতো এবারও প্রথম ধাপে শ খানেক উপজেলা পরিষদের নির্বাচন হতে পারে। চার বা পাঁচ ধাপে ভোট শেষ করা হতে পারে। রোজার সময় তো ভোট করা হবে না। রোজার আগে প্রথম ধাপ ও পরে অন্য ধাপগুলো হবে। সে ক্ষেত্রে উপজেলার সংখ্যা ও ভোটের তারিখ কমিশন সভায় চূড়ান্ত হবে। তিনি জানান, ভোটের জন্য ২০০ উপজেলা প্রস্তুত রয়েছে। তবে কয় ধাপে, কয়টি উপজেলার বা প্রথমে কোন কোন উপজেলায় নির্বাচন হবে সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
উপজেলা পরিষদ চালুর পর ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ১৯৯০ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হলেও পরে উপজেলা কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর আবারও উপজেলা পরিষদ চালু করে। ওই বছর তৃতীয়বার নির্বাচন হয়।