ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটের প্রচার-প্রচারণা গতকাল রবিবার শেষ হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার ১৫৬টি উপজেলার ভোটে প্রতিনিধি বাছাইয়ে মত দেবেন তিন কোটি ৫২ লাখের বেশি ভোটার।
এদিন সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। ভোট উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
গত ১ এপ্রিল দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ইসি। তফসিল অনুযায়ী ৩০ এপ্রিল প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্ধারিত সময় শেষে চূড়ান্ত হয় এক হাজার ৮২৪ জন প্রার্থী। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬০৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৯৩ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী রয়েছেন ৫২৮ জন। ১ মে প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা শুরু করেন প্রার্থীরা।
আগামীকাল ১০টি অঞ্চলের অধীনে মোট ১৩ হাজার ১৬টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে প্রথম ধাপের ভোট।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ২২ জন
এদিকে প্রথম ধাপের ভোটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ২২ জন প্রার্থী। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে সাতজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে আটজন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন সাতজন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় দুটি উপজেলায় (চট্টগ্রামের রাউজান এবং কুমিল্লার আদর্শনগর) তিন পদে মনোনয়ন দাখিলকারী সব প্রার্থী বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন।
সালথার ওয়াদুদ মাতুব্বরের প্রার্থিতা বহাল
ফরিদপুরের সালথা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মো. ওয়াদুদ মাতুব্বরের প্রার্থিতা বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। গতকাল রবিবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আট বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে ওয়াদুদ মাতুব্বরের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী নুরুল ইসলাম সুজন, শ ম রেজাউল করিম ও শাহ মঞ্জুরুল হক। অন্য প্রার্থী ওয়াহিদুজ্জামানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী ও সাঈদ আহমেদ রাজা। ওয়াদুদ মাতুব্বর উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান। তিনি এবার নির্বাচনেও চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হয়েছেন। যাচাই-বাছাইয়ের পর গত ২৩ এপ্রিল তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং অফিসার।