অনলাইন ডেস্ক:
সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. হাফিজুর রহমান বলেছেন, আমাদের দেশে অনেক চাষিই অধিক ফলনের আশায় আলু চাষ করেন। কিন্তু সঠিক জাত নির্বাাচন করায় অনেকেই আশানরুপ ফল পান না। তাই আলুর অধিক ফলন পেতে হলে আমাদের উচ্চফলনশীল উন্নত জাত নির্বাাচন করতে হবে। এ বিষয়ে গবেষকদের আরো বেশী করে কাজ করতে হবে। সরকার তাদের পাশে থাকবে।
শনিবার ( ২৬ জুন) রাজধানীর হোটেল ফারস-এ বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের এগ্রো প্রোডাক্টস্ বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল (এপিবিপিসি)’র সহযোগিতায় বাংলাদেশ পটেটো এক্সপার্টার্স এসোসিয়েশন (বিপিইএ) আয়োজিত “রফতানির জন্য উপযুক্ত নতুন আলুর জাত পরিচয় এবং নির্বাচন” কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আলু বিশ্বের অন্যতম প্রধান ফসল। উৎপাদনের দিক থেকে ধান, গম ও ভুট্টার পরেই চতুর্থ স্থানে আছে আলু। বাংলাদেশে আলু একটি গুরুত্বপূর্ণ ফসল। বাংলাদেশের সর্বত্রই এর চাষ হয়ে থাকে। অনুকূল আবহাওয়া ও বাজারজাতকরণের জন্য কিছু জেলায় এর চাষ ব্যাপকভাবে হয়ে থাকে।
তিনি বলেন, প্রক্রিয়াজাত আলু বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। আলু একটি স্টার্চ প্রধান খাদ্য এবং ভাতের বিকল্প হিসেবে খাওয়া যেতে পারে। পৃথিবীর অন্তত ৪০টি দেশে আলু মানুষের অন্যতম প্রধান খাদ্য। আলু একটি স্বল্পমেয়াদি উচ্চফলনশীল ফসল যা জমির স্বল্পতাহেতু বাংলাদেশে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে সহায়তা করতে পারে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কৃষি বিজ্ঞানী ড. শেখ আব্দুল কাদেরের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন রপ্তানী ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. আবদুর রহিম খান, বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব শওকত আলী ওয়ারেছী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক গবেষনা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিপিইএ’র মহাসচিব মো. জাকির হোসেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কৃষিবিজ্ঞানী ড. শেখ আব্দুল কাদের ও ড. জেসি সরকার। কর্মশালায় মূল বক্তব্য রাখেন বিএডিসি’র গবেষনা সেলের যুগ্ম পরিচালক ও প্রধান সমন্বয়কারী ড. মো. রেজাউল করিম, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইং’র অতিরিক্ত পরিচালক মো. সামছুল আলম। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব কাজী মুন্নী, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম মোরশেদ, ইসি সদস্য সেলিনা কাদের, মো. ইকবাল হোসেন, কেএম শাখাওয়াত প্রমুখ।
সভায় ইসি সদস্য আবদুস সালামের ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করা হয় এবং তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন মো. ইমাম হোসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সানজিদা রোজ।