উখিয়া প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের উখিয়ার সর্বত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারগুলো বিতরণে জনপ্রতিনিধিদের পাশাপাশি সময় পেলে নিজেও বের হয়ে যায়।উপজেলার বিভিন্ন স্থান ঘুরে ঘুরে প্রকৃত শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্রগুলো পৌঁছে দিয়ে অনেক প্রীতি ও প্রশান্তি অনুভব করি।এতে প্রান্তিক অঞ্চলের অসহায় দু:স্থ মানুষ গুলো শীতের প্রকোপ থেকে কিছুটা হলেও উষ্ণতায় পার করতে পারবেন। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ৪৫৫০জন অসহায় দুঃস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে উখিয়া উপজেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার সকালে কক্সবাজারের উখিয়ায় রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদে উপজেলা নারী উন্নয়ন ফোরামের উঠান বৈঠক শেষে দু:স্থ নারীদেরকে কম্বর বিতরণ কালে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজাম উদ্দিন আহমেদ একথা বলেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: আল মামুন জানিয়েছেন, উখিয়া উপজেলার আওতাধীন জালিয়াপালং, রত্নাপালং, হলদিয়াপালং, রাজাপালং ও পালংখালী ৫টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে প্রতিটি ইউনিয়নে ৪৭০টি করে ২৩৫০জন কম্বল বিতরণ করা হয়। যা সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানরা মাষ্টাররোল ইতোমধ্যে জমা দিয়েছেন।
পিআইও আরো বলেন, বিভিন্ন সময় উখিয়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মন্দির, মাদ্রাসা, প্যাগোডা ও এতিমখানায় শীতবস্ত্র বিতরণের পাশাপাশি মধ্যরাতে উখিয়া উপজেলার স্টেশনে অবস্থানরত শীতার্ত মানুষের মাঝেও ২২০০টি শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। তৎমধ্যে প্রতিবন্ধী এবং রুমখাঁপালং সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লি: এর মাধ্যমে প্রান্তিক অঞ্চলের ক্ষুদ্র-ণৃ-গোষ্ঠীর মাঝেও বেশ কিছু শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।
হাড়কাঁপানো শীতে কম্বল হাতে পেয়ে আনন্দে উৎফুল্ল প্রান্তিক মানুষ গুলো। সেই সঙ্গে কম্বল পাওয়ায় হলদিয়াপালং ইউনিয়নের রুমখাঁ হাতির ঘোনা গ্রামের প্রতিবন্ধী রানী বড়ুয়া, বৃদ্ধ প্রিয়দর্শী বড়ুয়া ও কামাল উদ্দিন জমু বড়ুয়া, রিনা বড়ুয়া, বিধবা মিনাসহ অনেকেই প্রধানমন্ত্রী ও ইউএনওর’র প্রতি কৃতজ্ঞতা ও সাধুবাদ জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের শীতবস্ত্র বিতরণ কালে উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি উখিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কামরুন্নেছা বেবী, উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, জালিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান এসএম ছৈয়দ আলম, রত্নাপালং ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হুদা, পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন ও হলদিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী সার্বিক সহযোগিতা করেন বলেও প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সুত্রে জানা গেছে।